রাজ্য

প্রাণ হাতে করে নদী পারাপার জামালপুরের বাসিন্দাদের রোজনামচা – হুঁশ নেই রাজ্য সরকারের।


সুপর্ণা রায়: চিন্তন নিউজ:২৩ শে জুন:– প্রতি বছর বর্ষায় দামোদর নদের জলস্তর বেড়ে যায় । বহুবার রাজ্যসরকারকে জানিয়েও কোন লাভ হয়নি। প্রতি বর্ষায় দামোদর ফুলেফেঁপে উঠে আর মানুষকে প্রান হাতে করে কোন রকমে নদ পারাপার করতে হয় নৌকা করে। পূর্ব বর্ধমান এর জামালপুর বাসিন্দাদের এটাই রোজ নামচা। এতবার করে রাজ্যসরকারকে বলেও কোন সুরাহা হয় নি ফলে মানুষ এর মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।।                                     

অমরপুর ফেরিঘাট থেকে খুব সহজেই দামোদর পার হয়ে হুগলি জেলার চাঁপাডাঙায় পৌঁছানো যায়।। প্রতিদিন দুই পাড়ের মানুষ এই ভাবেই নদী পারাপার করেন। ওই এলাকার জনৈক বাসিন্দা  জানিয়েছেন যে বারবার বলা স্বত্বেও রাজ্যসরকার কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে নি ।। তাই প্রান হাতে করে নৌকা করেই নদ পারাপার করতে হয়।।  আরেকজন বাসিন্দা জানান যে চাঁপাডাঙা ও অমরপুরের  বাসিন্দারা নদের উপর পাকা কংক্রিটের সেতুর দাবী জানিয়ে আসছেন কিন্তু কোন ফল হয়নি। বর্ষার সময় চাঁপাডাঙা পৌঁছাতে ২০/২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পথ ঘুরে যেতে হয়। পাকা সেতু না হ’লে তাঁদের দূর্ভোগের শেষ নেই।                                      

শম্ভুপুরের বাসিন্দারাও বহুদিন ধরে দামোদর নদের উপর পাকা সেতুর দাবী জানিয়ে আসছেন।। অমরপুর ফেরিঘাট থেকে শম্ভুপুর ফেরিঘাট এর দূরত্ব প্রায় ২৫ কিলোমিটার।। শম্ভুপুর ফেরিঘাট পৌঁছানো গেলে ওখান থেকে রায়না ,খন্ডঘোষ বিভিন্ন স্থানে সহজেই পৌঁছানো যায়।।শম্ভুপুর ঘাট পেরিয়ে বড়শুলে পৌঁছে ২ নং জাতীয় সড়ক ধরে দূর্গাপুর ও আসানসোল এও পৌঁছানো যায়। অন্য সময় বাঁশের মাচা দিয়ে অস্থায়ী সেতু বানিয়ে মানুষ যাতায়াত করতে পারে। কিন্তু বর্ষার সময় সেটা সম্ভব নয়।  বর্ষাকালে নৌকাই যাতায়াত করার একমাত্র উপায়। বারবার বলা স্বত্বেও রাজ্য সরকারের  হুঁশ ফেরেনি।



মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।