দেশ রাজ্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্য

ছয় মাস ধরে সাসপেন্ডেড তিন পড়ুয়াকে তিন বছরের জন্য বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ!


রণদীপ মিত্র: চিন্তন নিউজ:২৩শে আগস্ট:–গত ছয় মাস ধরে সাসপেন্ড থাকা বিশ্বভারতীর তিন পড়ুয়াকে তিন বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ! সোমবার রাত্রে সাসপেন্ড থাকা তিন পড়ুয়া যথা অর্থনীতির বিভাগের ছাত্র এসএফআই নেতা সোমনাথ সৌ, সঙ্গীতভবনের হিন্দি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ছাত্রী এসএফআই নেত্রী রূপা চক্রবর্তী এবং অপর ছাত্রনেতা ফাল্গুনী পানের কাছে বিশ্বভারতীর প্রোক্টরের স্বাক্ষরিত চিঠি এসে পৌছেছে। তাতে ‘শৃঙ্খলাভঙ্গ’ ও অর্থনীতি বিভাগে ‘ভাঙচূরে’র অভিযোগ প্রমানীত হওয়ার উল্লেখ করে এই চরম শাস্তিদানের নিদান দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

খবর প্রকাশ্যে আসতেই স্তম্ভিত হয়েছে শিক্ষা মহল। গত ৯জানুয়ারি ছাতিমতলায় শান্তিপূর্ন প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন পড়ুয়ারা। সেদিন ছাতিমতলায় এক অনুষ্ঠানে যখন উপাচার্য্য উপস্থিত হয়েছিলেন তখন নির্দিষ্ট ও যুক্তিগ্রাহ্য কিছু দাবিদাওয়া নিয়ে শান্তিপূর্ন অবস্থানে বসেছিলেন পড়ুয়ারা। পড়ুয়াদের কথা শোনা তো দূর সেদিন বরং রণংদেহি হয়ে উঠেছিল কর্তৃপক্ষ। নিরাপত্তারক্ষীদের দিয়ে রীতিমত হেনস্থা করা হয়েছিল পড়ুয়াদের। তার প্রতিবাদে বিভিন্ন বিভাগে বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন পড়ুয়ারা। সেই প্রতিবাদকে বিশ্বভারতীর সন্মানক্ষুন্নকারী ও কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধাচারন করে শৃঙ্খলাভঙ্গ অভিযোগ এনেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অর্থনীতি বিভাগে ভাঙচুরের অভিযোগও আনা হয়েছিল পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি। সেই অভিযোগের ভীত্তিতে গত ১৪ জানুয়ারি সাসপেন্ড করা হয় তিন পড়ুয়াকে। গত ১০ আগস্ট সাসেপন্ড থাকা তিন পড়ুয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠায়। তারপর এদিন সেই তদন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। সেই রিপোর্টের ভীত্তিতে তিন পড়ুয়ার বিরুদ্ধে কঠোরতম সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে কর্তৃপক্ষ।

এসএফআই নেতা সোমনাথ সৌ ক্ষোভের সাথে জানিয়েছেন, ‘‘উপাচার্য্য চরম প্রতিহিংসার নজির রেখেছেন। তবে পিছিয়ে আসার কোন জায়গা নেই। এর বিরুদ্ধে আইনী লড়াই যেমন হবে। ক্যাম্পাসেও হবে দূর্বার প্রতিবাদ।’’


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।