রাজ্য

পার্থর মন্তব্যে বিড়ম্বনায় চন্দননগরের নেতারা।


চিন্তন নিউজ:৬ই জুন,২০১৯:রত্না দাস:—স্বচ্ছ পুরবোর্ড চায় ,দাবি শহরের :—
দলের মহা সচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্যে বিড়ম্বনায় পড়েছে দলের নেতারাই। সোমবার তিনি দাবি করেছেন মেয়াদ শেষ হবার আগে কোনো পুরসভায় প্রশাসক বসানো হয়নি।কিন্তু ঘটনা হচ্ছে দলীয় কাউন্সিলরদের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব সামলাতে না পেরে ৯ মাস আগে পুরবোর্ড ভেঙে সেখানকার কমিশনারকে কার্যত প্রশাসনের দায়িত্ব দেয় নবান্ন। ২০২০র মাঝামাঝি পর্যন্ত ছিল মেয়াদ। তার মন্তব্য নিয়ে নানা চর্চা শুরু হয় গঙ্গাপারের এই শহরে। সরব বিরোধীরাও।দলের নেতাদের মতে পার্থ বাবুর মতো নেতা এমন তথ্য দিলে মুশকিল।বিরোধী দলনেতা সিপিআইএম এর রমেশ তিওয়ারির মন্তব্য,”উনার কথা শুনে রাগ হচ্ছে,অগণতান্ত্রিক ভাবে বোর্ড চলছে। অবিলম্বে নির্বাচন হওয়া উচিত। বিজেপি র এক নেতার মতে,”অসত্যই ওদের ভিত্তি।চন্দননগর একটি শিল্প-সংস্কৃতির জায়গা। শিক্ষা মন্ত্রী অসত্য তথ্য পরিবেশন করে শহরবাসীকে অপমান করলেন। অবিলম্বে ভোট হওয়া উচিত।
ওনার বক্তব্য নিয়ে মন্তব্য এড়িয়েছেন ভেঙে দেওয়া পুর বোর্ডের মেয়র রাম চক্রবর্তী।বর্তমানে তিনি কাজকর্ম দেখাশোনার কমিটিতে রয়েছেন। প্রসঙ্গ এড়িয়েছেন বর্তমান বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেন।পুর কমিশনার স্বপন কুন্ডু কোনো মন্তব্য করেন নি।শহরবাসির অনেকে যথাযথ পুর পরিষেবার জন্য নির্বাচিত পুরবোর্ডের প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছেন। সেখানকার বাসিন্দাদের বক্তব্য সঠিক পরিষেবা পেতে অবিলম্বে ভোট হওয়া উচিত।মানকুন্ডুর এক গৃহবধূর মতে মন্ত্রী রা কথা শুনতে চান না।যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভোট হয়ে স্বচ্ছ পুরবোর্ড গঠন হোক। সবচেয়ে মুশকিল হচ্ছে ঠিকমতো জঞ্জাল সাফ হচ্ছে না। জন প্রতিনিধির কাছে যাওয়া সম্ভব কিন্তু প্রশাসকের নাগাল পাওয়া কঠিন।
২০১৫ তে চন্দনগরে পুরভোটে জেতে তৃণমূল। কিন্তু দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রভাব পরিষেবায় পরে বলে অভিযোগ। গত অগাস্টএ পুর বোর্ড ভেঙে দেয় রাজ্য সরকার। ওই মাসের ২৭শে অগাস্ট পুর কমিশনার পুরো বোর্ড চালানোর দায়িত্ব পান। গত ফেব্রুয়ারি মাসে পুরকমিশনারের সাথে আরো ৫জনকে জুড়ে দেয় নবান্ন। এই ৬জনার কমিটিতে চেয়ারম্যান পুর কমিশনার।বাকি হচ্ছেন বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেন,প্রাক্তন মেয়র রামবাবু,প্রাক্তন মেয়র পরিষদ অনিমেষ ব্যানার্জী,মুন্না আগরওয়াল,স্নিগ্ধ রায়।৬মাসের জন্য এই কমিটি র কাজ করার কথা। অতএব আগামী অগাস্ট পর্যন্ত ভোটের সম্ভাবনা নেই বলেই অনেকে মনে করছেন ।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।