সুপর্ণা রায়: চিন্তন নিউজ:২৩শে আগস্ট:– আজ প্রায় দেড় বছর সাধারণ লোকাল ট্রেন বন্ধ। হকারদের চেনা রোজগার এর পথও বন্ধ।কবে লোকাল ট্রেন স্বাভাবিক হবে কেউ জানে না। বর্তমানে কিছু কিছু স্পেশাল ট্রেন চালু হয়েছে। কোন কোন হকার তাঁদের পরিচিত ব্যবসা সামগ্রী নিয়ে ট্রেনে তাঁদের ব্যবসাও শুরু করেছেন। কিন্তু কিছু সামাজিক মাধ্যম অভিযোগ তুলেছেন যে ট্রেনের হকাররা করোনা বিধি মানছেন না এবং এটাও রটে যায় ট্রেনে ও প্ল্যাটফর্মে হকারি করা নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। ।
খবরে প্রকাশ পূর্ব রেলের আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী জানিয়েছেন যে হকারদের রোজগারের পথ বন্ধ হচ্ছে না তবে অত্যন্ত কড়া ভাবে করোনা বিধি মানতে হবে। রেলের আধিকারিক রা জানিয়েছেন যে মাঝে মাঝেই দেখা হবে হকার রা মাস্ক পরে হকারি করছেন কিনা বা তাঁরা হাত স্যানিটাইজেশন করছেন কিনা। যদি না করেন তবে কড়া শাস্তির ব্যবস্থা আছে। অন্যান সব কিছু যেমন মদের দোকান, শপিংমল, সিনেমা হল ইত্যাদি খুললেও লোকাল ট্রেন ও স্কুল সরকার কিছুতেই চালু করতে দিচ্ছেন না।অবশ্য এখন কিছু মানুষকে স্বস্তি দিয়ে স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চালানো হচ্ছে।তবে সেটা সংখ্যায় খুবই কম।
এক হকার জানালেন ট্রেন চালু হয়নি তাই ট্রেনে ব্যবসা পত্র একদম হচ্ছে না। বিক্রি বাটা কিছুতেই আগের ছন্দে ফিরছে না। হাওড়া ডিভিশনের এক হকার জানালেন গত ত্রিশ বছর ধরে ট্রেনে হকারি করছেন। এতদিন বসে থাকার পর কিছু ট্রেন চালু হতেই আবার হকারিতে ফিরে এসেছেন। কারণ এটাই তাঁদের রোজগার পাতির চেনা ছন্দ। আরও জানালেন করোনা সংক্রমনের ভয় তাঁদেরও আছে ,তাঁরাও পরিবার ছেলেমেয়ে নিয়ে সংসার জীবন যাপন করেন। কাজেই তাঁরাও এই জীবনহরণকারী রোগ সম্পর্কে যথেষ্ঠ সচেতন। এখন তাঁদের দাবী অন্যান্য অনেক রাজ্যে যেমন ট্রেন চালু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গেও চালু হোক যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। অবিলম্বে যদি ট্রেন চালু না হয় তবে তাঁরাও আন্দোলনের পথে যাবেন।।