দেশ

সামাজিক দূরত্বকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আলিগড় স্টেশনে জনতার ঢল—


কাকলি চ্যাটার্জি: চিন্তন নিউজ:২৪শে জুন:-উত্তরপ্রদেশের আলিগড় স্টেশনে স্থানীয় সাংসদের উপস্থিতিতে অমান্য করা হল সামাজিক দূরত্ব বিধি, কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকায় রেলপুলিশ, প্রশাসন।

গতকালের তিনটি ভিডিও ফুটেজ পরিষ্কারভাবে দেখিয়ে দিল উত্তরপ্রদেশ সরকার ও রেলকর্তৃপক্ষের ব্যর্থতার হালহকিকত। প্রথম ভিডিও তে দেখা যাচ্ছে আলিগড় স্টেশনের বাইরে শতাধিক শ্রমিক পরিবার পরিজন সহ মাথায় বোঁচকা নিয়ে ধীর গতিতে স্টেশনে প্রবেশ করছেন। দ্বিতীয় ভিডিওটি দেখাচ্ছে স্টেশনের ভেতরে দল বেঁধে একসাথে বসে আছেন ঐ পরিবারগুলো। তৃতীয় ভিডিওতে পরিষ্কারভাবে দেখা যায় রেলপুলিশের দল সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকা লাইনের তদারকিতে ব্যস্ত। তিনটি ক্ষেত্রেই বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল কোনো ক্ষেত্রেই কোভিড১৯ মোকাবিলার জন্য সামাজিক দূরত্ব মানা হয়নি সামান্যতম। জানা যায় ঐ পরিবারগুলো বিহারের ইটভাটাতে কর্মরত, ফিরছেন সেখানেই রুজির টানে। উত্তরপ্রদেশে যেখানে সংক্রমনের হার ঊর্ধ্বমুখী সেখানে কথা আর কাজের ফারাক বিজেপি সরকারের নীতির অভিমুখ বুঝতে সাহায্য করে।

আলিগড় সংলগ্ন হাথরাস জেলার বর্তমান বিজেপি সাংসদ রাজবীর দিলের প্ল্যাটফর্মে উপস্থিত থেকে পতাকা নেড়ে সূচনা করেন বিহারের গয়াগামী ঐ ট্রেনযাত্রার। ওনাকে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে উনি বলেন,” জায়গা কম এবং ভীড় বেশী হলে এটা ঘটে। আমরা চেষ্টা করি এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার।”

স্টেশনে আরও উপস্থিত ছিলেন উচ্চপদস্থ সরকারী আমলা কুলদেব সিং। তিনি এ প্রসঙ্গে মিডিয়াকে বলেন,” তিনটি ট্রেনেরই গন্তব্য ছিল বিহারের গয়া। আমরা সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলার চেষ্টা করি কিন্তু ঐ শ্রমিকদের অনেক বেশী লটবহর এবং বাচ্চার সংখ্যাও অনেক। গোটা ট্রেন ঠিকমতো জীবাণুমুক্ত ও করা হয়।

কিন্তু প্রশ্ন হল আচ্ছে দিনের কারিগরদের রাজত্বে উত্তরপ্রদেশের সাধারণ মানুষ কতটা সুরক্ষিত? আংশিক লকডাউন চলাকালীন সময়েও ভাইরাস সংক্রমণের ভয় নিয়ে স্পেশাল ট্রেনের সওয়ারি হয়ে পরিবারসহ নিজের রাজ্য ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন মানুষ? কেন সরকার দায়িত্ব নেবেন না এঁদের রুটিরুজির? শুধুই কি ক্ষমতায় থাকার জন্য প্রতিশ্রুতির গল্পমালা? নিরুত্তর চরম দক্ষিণপন্থী সাম্প্রদায়িক রাজনীতির ব্যবসায়ীরা।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।