রাজ্য

গ্রামের মানুষের শ্বাসকষ্টের কারণ ইটভাটা_


সূপর্ণা রায়: চিন্তন নিউজ:২২শে নভেম্বর:–গ্রামের শ্বাসকষ্ট এর কারণ ইটভাটা। প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিনদুপুরে একটা আস্ত নদী বাঁধ হারিয়ে গেল ইটভাটা মালিকের গহ্বরে।। যথারীতি নিশ্চুপ , নির্বিকার প্রশাসন।। অবস্থা এমন যে বাঁধের উপর থাকা ম্যানগ্রোভ ও রক্ষা পেল না।। গত ১৩ ই নভেম্বর বুলবুল বিদ্ধস্ত বসিরহাট নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি প্রশাসনিক সভা করেন মেরুদন্ডী স্লুইস গেট সংলগ্ন কর্মতীর্থে।। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেছেন ম্যানগ্রোভ অনেক টাই রক্ষা করেছে বুলবুল এর তান্ডব থেকে।।

মুখ্যমন্ত্রী জানান তাঁর খোঁজে অনেক আইনিবেআইনি ইটভাটা আছে।। কিন্তু এই ডাটাগুলো মোটেও স্বাভাবিক ভাবে হচ্ছে না স্থানীয় গ্রামবাসী ও কৃষক দের এটা বক্তব্য।। প্রশাসন এর বিভিন্ন স্তরে অভিযোগ জমা করেছে বাসিন্দা রা।। অদ্ভুত কথা বললেন জেলাশাসক, বিডিও, সেচদপ্তর তারা কিছুই জানেন না।। সংবাদ মাধ্যম থেকে তাঁরা জানতে পেরেছেন।। যদিও সেচ দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন যদি নদী বাঁধ কেটে থাকে তবে আইনের ব্যবস্থা অবশ্যই নেওয়া হবে।।

তাহলে এই প্রশ্ন উঠে আসে গত আগস্ট মাস থেকে এই এতদিন পর্যন্ত প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করল না কেন??? বসিরহাট ১ নং ব্লকসঙগ্রামপুর পঞ্চায়েত এলাকার মন্দির পাড়া গ্রাম।। ওখানে গেলে জানা যায় মানুষ এর অভিযোগ এর কথা।। এইখানে বেআইনি ভাবে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু ইটভাটা।।। ইটভাটা র বিষাক্ত ধোঁয়া যে ঘরে ঘরে মানুষ এর শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা, চর্মরোগ, দৃষ্টি হীনতা বেড়ে চলেছে।। তার উপর রোজকার এর জন্যে প্রতি ঘরের দোরে দোরে ভাটা তৈরি করা হচ্ছে।। বাসিন্দা দের প্রশ্ন তারা কোথায় যাবেন।। প্রশাসন এর দরজায় দরজায় কড়া নেড়েছেন কেউ সাহায্য করে নি। বলেছেন রামপ্রসাদ গায়েন, সুরজিৎ বিশ্বাস, সোনামনি আড়মরা।। অভিযোগ পত্র পাঠানো হয়েছে আজ দুই- মাস। কোন পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন।

ইছামতী নদীর পাড় থেকে ১০০১৫০ ফুট দুরত্ব এ সরকারের খাস জমিতে ইটভাটার পাকাপোক্ত চিমনি আকাশ মুখো হয়ে উঠছে।। যারা এই ইটভাটা তৈরি করছে তারা শাসকদল এর আর অতি ভয়ংকর লোকজন।। এরপর ফসল রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে।। তিন ফসলি জমির ফসল বাঁচাতে আর কোনো ইটভাটা হোক আর তারা চান না।। বছরে বিঘা প্রতি ৩৭ হাজার টাকা দরে জমি লিজ দেওয়া আছে কাজেই পয়সার অভাব নেই।।।। কিন্তু চিন্তা নদী বাঁধ ভেঙে গেলে কি হবে। হারাই করতে মাটির ব্যাবস্থা কি হবে?? মাটি আনতে হবে বহুদূর থেকে। ততক্ষণে নদীর জল ঢুকে ঘরবাড়ি,ফসল, গৃহপালিত পশু সব ভেসে যাবে। ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন পরিবেশ বিদ প্রাক্তন অধ্যক্ষ ডা,নারায়ন দাস,বিজ্ঞান মঞ্চর নেতা পার্থ মুখার্জি বলেন পরিবেশ এর ক্ষতি করে বহু ইটভাটা তৈরি করা হয়েছে।

ইছামতী নদী বসিরহাটের অহঙ্কার।। এখানে যে ভাটা টি তৈরি করা হয়েছে সেটি কয়েক শো বিঘা তিন ফসলি জমির উপর।।ঘনজনবসতি পূর্ণ এলাকা সংগ্রাম পুর।।এর একটি ইতিহাস আছে। নদীর দক্ষিণ দিকে বসিরহাট শহর।। এই অঞ্চলে এভাবে ইটভাটা গড়ে উঠলো কি ভাবে?? অবিলম্বে এই ইটভাটা বন্ধ করে দেওয়া হোক_এটাই দাবি।।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।