কিংশুক ভট্টাচার্য: চিন্তন নিউজ:১৬ই জুন:-হংকংয়ের ক্ষেত্রে জাতীয় নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ সংক্রান্ত মার্কিন প্রতিক্রিয়ায় বেজিং তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত আইন হংকংয়ে প্রয়োগের প্রতিক্রিয়ায় ইতিমধ্যেই হংকংয়ের জন্য যে আইন অনুযায়ী বিশেষ অগ্রাধিকারের সুযোগ আমেরিকা দিতো তা মঙ্গলবার আর একটি নতুন আইন পাশ করে প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
প্রত্যাহার করতে গিয়ে ট্রাম্প বলেছেন “এই বিশেষ অগ্রাধিকার ও অর্থনৈতিক সুযোগের ব্যবহার করে হংকং মার্কিন কৌশলগত ও প্রযুক্তিগত তথ্য অন্যত্র হস্তান্তর করছে। এখন থেকে হংকং চায়না মূল ভূখন্ডের মতোই বিবেচিত হবে”।
প্রত্যুত্তরে চীন তার প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টর এই পদক্ষেপের ফলে মার্কিন সংস্থা ও ব্যাক্তিবর্গ চিনে পাল্টা অসুবিধের মুখে পড়তে পারে। চীন বিদেশদপ্তরের এক মুখপাত্র বলেছেন ট্রাম্পের এই ধরনের নির্দেশ চীনের সার্বভৌমত্বে তথা অভ্যন্তরীন বিষয়ে হস্তক্ষেপের মতো আন্তজার্তিক আইনের পরিপন্থী কাজ।
চীন বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে ট্রাম্পের এই ধরনের নির্দেশাবলীর ফলে হংকং তথা চীনে কর্মরত বিশেষ চার ব্যাক্তি ও সংস্থার অনুমোদন প্রত্যাহারের সম্ভাবনার জন্ম দিচ্ছে।
হংকংয়ের স্বায়ত্ব শাসন আইন প্রত্যাহারের ফলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প যে নতুন আইন স্বাক্ষর করেছেন তা চীনের অভ্যন্তরীন বিষয়ে হস্তক্ষেপ এবং গুরুতরভাবে আন্তর্জাতিক নিয়মনীতি লঙ্ঘনকারী। এর ফলে মার্কিনীরা যথাযোগ্য জবাব পাবে। যদিও নতুন করে বিশেষ সুযোগ প্রত্যাহার ও স্বায়ত্ব শাসনের অধিকার আইন প্রণয়ন করে চীনের জাতীয় নিরাপত্তা আইনকে হংকংয়ে প্রয়োগ রদের ব্যর্থ প্রচেষ্টা, দাবি চীনের।
যদিও সেই পাল্টা প্রত্যাঘাত ব্যবস্থাদি ও মার্কিনীদের নিয়ন্ত্রনের পদ্ধতি সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। তবে এই বিষয়ে ঈঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে হংকং স্বায়ত্ব শাসন বিল প্রস্তাবক সেনেটর ক্রিস ভ্যান হোলেন ও প্যাট্রিক টুমি এবং ডেমোক্রেটিক পার্টির সেনেটর জোস হলি সঙ্গে কিছু কংগ্রেস সদস্য ও এই নিয়ন্ত্রনের অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। বিশেষত জিনজিয়াং সম্পর্কিত বিষয় ও ব্যক্তিরা এর অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। এই নিয়ন্ত্রনের সিদ্ধান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষরিত আইনের সমানুপাতিক হবার সম্ভাবনা বেশী। একটি স্বাধীন গবেষণা এজেন্সী প্লেনামের সদস্য চেন লঙের মত অনুসারে সত্যিকারের দেশপ্রেমিক শাসকের হাতেই একমাত্র এই শহরের সুরক্ষা সুনিশ্চিত হতে পারে।