রাজ্য

দূর্মূল্য উপকরণসহ ধৃত হুগলির দুই যুবক


সুপর্ণা রায়: চিন্তন নিউজ:২৭শে আগস্ট:– এক দূর্মূল্য পারমানবিক বোমা তৈরীর উপকরণ মিললো দমদম থেকে, হুগলি জেলার দুই যুবক শৈলেন কর্মকার ও অসিত ঘোষের কাছে। এদের মধ্যে একজন সিঙ্গুর ও আরেকজন পোলবার বাসিন্দা।দমদম বিমানবন্দর থেকে এর আগে বহুবার বেআইনি সোনা পাচারকারীদের পাকড়াও করা হয়েছে কিন্তু এবার উদ্ধার হয়েছে আনুমানিক চার হাজার কোটি টাকার পরমানু বোমা তৈরীর উপকরণ ক্যালিফোর্নিয়াম। এই ধাতুর এক গ্রামের আন্তজার্তিক মুল্য ১৭০কোটি টাকা। তাদের কাছ থেকে এই ধাতু পাওয়া গেছে ২৫০ গ্রাম।ধৃতদের কাছ থেকে শুধু ক্যালিফোর্নিয়াম ই উদ্ধার হয়নি ইরিডিয়াম আছে বলে অনুমান সি আই ডি অফিসারদের।তদন্তকারী অফিসার দের ধারনা কোন গবেষনাগার থেকে এই ধাতু চুরি করে আনা হয়েছে এবং এই শৈলেন ও অসিতের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্তকারী অফিসাররা জানতে পেরেছেন কর্নাটক থেকে এই ধাতু কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে। সি আই ডি অফিসার রাও মনে করতে পারছেন না এই সাম্প্রতিক কালে এই তেজস্ক্রীয় ধাতু উদ্ধারের ঘটনার কথা। একরকম হতবাক হয়ে পড়েছেন তাঁরা।

এই ক্যালিফোর্নিয়াম ধাতু আমজনতা কিনতে বা বিক্রি করতে পারেন না। এই কাজ করতে লাইসেন্স লাগে। এই ধাতু দেখতে রূপোর মতো। সাবানের মতো নরম হ ওয়ার জন্য ব্লেড দিয়ে সহজেই কাটা যায়।কেবলমাত্র ভাবা আ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টার এই এটা পাওয়া যায়। এটি গোটা বিশ্বে এক/আধগ্রাম পাওয়া যায় তাই এর দাম এত বেশী। ক্যান্সার রোগের চিকিৎসায় এই ধাতু ব্যবহৃত হয়। সোনা – রুপো চিহ্নিত করনের ক্ষেত্রে ,তেল ও জলের স্তর বুজতে এই ধাতু ব্যবহার করা হয়।

মানুষের ধারেকাছে এলে নানারকম বিরূপতা দেখা যায়। এই ধাতু মানুষ ও প্রানীর প্রানঘাতি হতে পারে। মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একেবারেই চলে যায়।এই ধাতুর সংস্পর্শে এলে অবধারিত বন্ধ্যাত্ব ডেকে আনতে পারে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।