দেশ

বেতন বন্ধ বারো মাস আত্মহত্যা, অনাহারে মৃত্যু অব্যাহত টেলি ঠিকা কর্মীদের


স্বাতী শীল: চিন্তন নিউজ:১৮ই জুন:- লকডাউন এর মধ্যেও নেই বেতন। দীর্ঘ বারো মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না বিএসএনএল এর ঠিকা শ্রমিকরা।

অভুক্ত অবস্থায় মৃত্যুর আশঙ্কায় ভুগছেন বিএসএনএল এর প্রায় ৫০ হাজারেরও বেশি ঠিকা কর্মী। এই লক ডাউন পরিসরে এই রাজ্যেই মানসিক অবসাদে এখনও পর্যন্ত আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন ৭ জন শ্রমিক,বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন আরও ৩।

লকডাউন পরিস্থিতিতে বকেয়া বেতন মিটিয়ে দেওয়ার দাবিতে বারবার সরব হয়েছে বিএসএনএল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন।নিয়মিত লড়াই করেছে টেলিকমিউনিকেশন মন্ত্রক থেকে দিল্লিতে সিএমটি দপ্তরে এবং এই রাজ্যের শীর্ষ অধিকারীদের দপ্তরেও। কিন্তু তার পরেও কোনো সুরাহা হয়নি। গত ৩ এবং ১৮ ই মার্চ ঠিকা মজদুরদের বকেয়া বেতনের দাবিতে দিল্লিতে সংস্থার সিএনজির সঙ্গে দেখা করেন বিএসএনএল এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন এবং বিএসএনএল কন্ট্রাক্ট ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের নেতৃত্ব কিন্তু এই মিটিং বা অনুরোধই সার এখনো পর্যন্ত এই সমস্যার কোন যথাযথ সমাধান সূত্র বেরোয়নি সংস্থার তরফ থেকে। গত ৪ এপ্রিল টেলিকমিউনিকেশন মন্ত্রীর কাছেও পাঠানো একটি চিঠিতে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন মিটিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন বিএসএনএল এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সর্বভারতীয় সভাপতি অনিমেষ মিত্র। ১০ এপ্রিল দিল্লিতে সিএমডিকে ফোন করে পুনরায় বকেয়া বেতন মিটানোর দাবি জানান বিএসএনএল এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক পি অভিমন্যু। কিন্তু তথাকথিত সমাধান সূত্র এখনো অধরা। সংস্থার পক্ষ থেকে বেতন দেওয়ার বিষয়ে এখনো কোনো সুনির্দিষ্ট ঘোষণা করা হয়নি।

চিঠি দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরেও।সিএমডি কেও বারবার অনুরোধ করা হয়েছে আউটসোর্সিং বন্ধ করে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ ফিরিয়ে আনার।এই লকডাউন পরিস্থিতিতে ঠিকা মজদুর দের বাঁচাতে একটি বিশেষ তহবিল গঠনেরও দাবি জানানো হয়েছে,কিন্তু কর্তৃপক্ষ অনড় থাকায় লকডাউনের তিন মাস পরেও নিজেদের প্রাপ্য বেতন থেকে বঞ্চিতই থেকে গেছেন বিএসএনএল এর ঠিকা কর্মীরা।

ইকোনমিক্স টাইমস টেলিকমে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে চুক্তিভিত্তিক কর্মী ফেডারেশনের সর্বভারতীয় সভাপতি নাম্বুদিরি জানিয়েছেন যে,তহবিলে ঘাটতি থাকার কারণেই ঠিকাদারদের বেতন পরিশোধ করেনি বিএসএনএল।সেই কারণে ঠিকা শ্রমিকেরা এক বছর ধরে বেতন পাচ্ছেন না।তিনি এও বলেন যে,বিগত এক বছর ধরে এই সমস্যার সমাধানের জন্য বিএসএনএল চেয়ারম্যান ও টেলি যোগাযোগ বিভাগের (ডিওটি)কর্মকর্তাদের চিঠি লিখেছে ওয়ার্কার্স ফেডারেশন,কিন্তু মুখ্য শ্রম কমিশনার হস্তক্ষেপ করা সত্ত্বেও এই বিষয়টির কোন সমাধান হয় নি।মেলেনি।বিএসএনএল এর পক্ষ থেকে কোন প্রতিক্রিয়া মেলেনি।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।