মীরা দাস:চিন্তন নিউজ:২০শে সেপ্টেম্বর:-নদী,খাল,বিল ,অরন্যকে নিয়ে বেঁচে থাকা মানুষ এখন অন্য দেশে পাড়ি দিচ্ছে রুটি রুজির টানে ।সুন্দর বনের প্রত্যন্ত অঞ্চল পাথর প্রতিমার রাক্ষসখালি গ্রাম ।কাজের সন্ধানে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছেন এই অঞ্চলের অধিকাংশ যুবক । তামিলনাড়ু ,উত্তরপ্রদেশ , মধ্যপ্রদেশ ,কেরালা ,দিল্লি মুম্বাই দেশের বিভিন্ন রাজ্যে চলে যাচ্ছেন কাজ করতে এই পরিযায়ী শ্রমিকেরা ।
রাক্ষসখালি গ্রাম বঙ্গোপসাগরের সম্মুখে ।এখানকার মানুষের জীবিকা মাছ ধরা। জীবনের ঝুঁকি গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যায় এই এলাকার মানুষ ।তাছাড়া কৃষির ওপর নির্ভর শীল গ্রামের মানুষ।গ্রামে কৃষিকাজ কমছে ,ফসলের দাম লাভজনক না পাওয়ায় কৃষিতে আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষকরা।,গ্রামে ক্ষেতমজুরের কাজ নেই ।রেগা প্রকল্পেও কাজ নেই ,ছুটতে হচ্ছে ভিন রাজ্যে জীবিকার টানে ।
রাক্ষসখালি গ্রামের তিন শতাধিক মানুষ পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে ভিন রাজ্যে কাজ করতে যাচ্ছেন ।
একসময় এখানকার মৎসজীবি সম্প্রদায় এখন পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে পাড়ি দিয়েছেন ভিন রাজ্যে ।
প্রতি পঞ্চায়েতে প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার জব কার্ড থাকা সত্বেও পঞ্চায়েত প্রতি কয়েকশো জব কার্ডে কাজ দেওয়া হয় দলীয় রং দেখে ।
এই অঞ্চলের মানুষের জীবন জীবিকা কৃষি ও মাছ চাষ ।তেমন বর্ষায় বৃষ্টিপাত না হওয়ার দরুন নদীতে পর্যাপ্ত জল নেই ,যার ফলে মাছ ও নেই ।জমিতে বর্ষার জল নেই ধান চাষ ও হচ্ছে না । অন্যান্য বারের তুলনায় ধান ও মাছের চাষ অনেক কম ।
বনে বাঘ ,জলে কুমীর ,নদী বনবিবির গল্পে ঘেরা প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখন শুধুই কাজ নেই তারই অফুরান গল্প ।