রঘুনাথ ভট্টাচার্য: চিন্তন নিউজ: ২৮শে এপ্রিল:- জনসাধারণের মনে শঙ্কার কালো মেঘ। অঙ্ক মেলাতে পারছে না কেউ। একটা বিরাট প্রশ্নচিহ্ন খর্গের মত ঝুলছে, দুলছে, মাথার ওপর। যে যে মারণরোগগুলো নিয়ে ভুক্তভোগীরা ব্যতিব্যস্ত থাকেন তাঁদের, সেই রোগীদের, তাঁদের যারা তদারকি করেন তাঁদের , তাঁরা এখন কোথায় আশ্রয় পাবেন , চিকিৎসা পাবেন ? চারিদিকে অব্যবস্থার ডামাডোল।
সরকারি চিকিৎসালয়ের চিকিৎসক ও কর্মীদের অসহায় অবস্থা। সংক্রমণের চাপে ক্রমে ক্রমে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এক একটা বিভাগ। অন্যান্য রোগের চিকিৎসা একের পর এক হাসপাতালে বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছে । এই অবস্থায় কেউ জানে না হার্টের হঠাৎ সমস্যা , কিডনি বিকল, সেরিব্রাল অ্যাটাক ইত্যাদির মত ইমারজেন্সি চিকিৎসার প্রয়োজনে মানুষ কোথায় যাবেন। করোনা চিকিৎসায় ন্যস্ত সরকারি কেন্দ্রগুলি রোগীদের আতঙ্ক ছাড়া আর কিছু দিতে দৃশ্যত প্রকৃতপক্ষে অপারগ।
বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবস্থানও তথৈবচ। অনেকেই সাধারণ ও স্বাভাবিক প্রবণতা বশতঃ সরকারি হাসপাতাল ছেড়ে যেতে চাইছেন বেসরকারি ব্যবস্থায়, একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে। কিন্তু সেখানেও শাঁখের করাত।
প্রথমত বেসরকারি চাকচিক্যের আড়ালে সেখানেও চিকিৎসা ও সুশ্রূষা পরিকাঠামোর কঙ্কাল প্রকাশ হয়ে পড়ছে ক্রমশঃ। এক হাসপাতাল থেকে আর এক হাসপাতালে ঘুরে দিনের শেষে রোগী আর তাঁর আত্মীয়দের পরিশ্রান্ত মুখে অসহায়তার ক্লান্তি। বেসরকারি ক্ষেত্রে করোনা-সাপোর্ট নেহাতই নামকা-ওয়াস্তে। আকাশচুম্বি টাকা দিয়েও বেড না মেলার আশঙ্কা।
হয়রানির এটাই শেষ নয় । বাকি যেটা সেটাও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। খবরে প্রকাশ, যে সমস্ত হাসপাতালে মোটামুটি ২৫ -৩০হাজার দৈনিক খরচে চিকিৎসা পাওয়া যাচ্ছিল, বর্তমানে সেটা দাঁড়িয়েছে ৪০-৪৫ হাজারে। আইসিইউতে এক লক্ষের ওপর। ভেনটিলেশন পেতে খরচ দৈনিক ১লক্ষ ৫০হাজার ছাড়িয়ে। এটা কোনও অতিরঞ্জন নয়। ভুক্তভোগীরা তাঁদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করায় এরকম জানা গেছে বলে বলা হচ্ছে। চতুর্দিকে এক অবস্থা। বিধাননগর, পার্ক স্ট্রিট , আমহার্ষ্ট স্ট্রিট সর্বত্রই এক অভিজ্ঞতা পাওয়া গেছে বলে প্রকাশ।
এক ভুক্তভোগী হতাশ হয়ে বললেন রাস্তায় দাঁড়িয়ে, ‘ এই স্তোকের বন্যা আর তথ্য অতিরঞ্জনের স্রোতে এবার ডুবে মরতে হবে।বলতে পারেন কেউ , কোথায় গেলে পাব একটু ভরসার আলো? চারিদিকে তো অন্ধকার ছাড়া আর কিছু দেখছি না!’