জেলা

প্রান্তিক মানুষগুলির পাশে থাকার আশ্বাস


কাকলি চ্যাটার্জি: চিন্তন নিউজ:২৮শে এপ্রিল:–২৪ শে মার্চ থেকে শুরু হয়েছে দেশব্যাপী লকডাউন। একমাসের ও বেশি সময় দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের হাতে কোনো কাজ নেই। যার যেটুকু সঞ্চয় ছিল শেষ অথবা শেষের পথে। আমরা কেউ জানিনা আর কতদিন লাগবে আমার দেশকে সুস্থ হতে! আর কতটা পথ হাঁটতে হবে এক রোগমুক্ত সুস্থ সকাল দেখার জন্য। ঘন জনবসতিপূর্ণ দেশে কোভিড১৯ নামের সাইলেন্ট কিলারের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাওয়া সত্যিই কঠিন।

গুরুত্ব উপলব্ধি করে কেরালার বামসরকার যথোচিত ব্যবস্থা গ্রহণ করে দেখিয়ে দিয়েছে আন্তরিক প্রচেষ্টা থাকলে কীভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব। আমার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথ্য গোপন করে , তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে বিপদ বাড়িয়ে দিয়েছেন। এখন আর কোনো উপায় না দেখে রোগী এবং রোগীর পরিবারকে নিদান দিচ্ছেন বাড়িতে থেকে সুস্থ হওয়ার। বাড়িতে রোগীর অক্সিজেন অথবা ভেন্টিলেশন এর প্রয়োজন হলে কী করণীয়—-নেই কোনো উত্তর। লক্ষ লক্ষ মানুষের ভোট নিয়ে নির্বাচনে জিততে হবে কিন্তু তাদের দায়িত্ব পালনের কোনো দায়বদ্ধতা নেই মাননীয়ার। দেশ তথা রাজ্যের মানুষকে বাঁচাতে লকডাউনের প্রথম দিন থেকে এগিয়ে এসেছেন বামপন্থী কর্মীরা।

তারই ক্ষুদ্র প্রয়াস হিসাবে২৭ শে এপ্রিল ২০২০ সি.পি.আই.(এম.) সোনারপুর উত্তর এরিয়া কমিটির ৬নং ওয়ার্ডের তেঁতুলবেড়িয়া এলাকার বামপন্থী কর্মীরা শতাধিক গরীব মানুষের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন। এলাকার গন আন্দোলনের নেতা বাবুল ঘোষ, যুব নেতা সমরেশ নস্কর ও পার্টির এরিয়া কমিটির সম্পাদক অপূর্ব কুমার মণ্ডলের সক্রিয় ভূমিকায় কর্মসূচিটি সুচারুভাবে সম্পন্ন হয় ।
একইভাবে পার্টির সোনারপুর উত্তর এরিয়া কমিটির অন্তর্গত ৭ নং ওয়ার্ডের কন্দর্পপুর গ্রামের অদ্য ২৮ শে এপ্রিল ২০২০ এলাকার বামপনহী কর্মীদের উদ্যোগে দ্বিতীয় দফায় শতাধিক গরীব মানুষের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়া হয় । এই কর্মসূচি সফল করার ক্ষেত্রে এলাকার যুব সম্পাদক সোহারাব হালদার ও সভাপতি মিয়ারাজ লস্কর সহ গন আন্দলনের অন্যান্য নেতৃত্ব সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন ।
উভয় কর্মসূচির ক্ষেত্রে সোনারপুর উত্তর এরিয়া কমিটির সম্পাদক অপূর্ব কুমার মণ্ডল নিজে উপস্থিত থেকে কর্মীদের উৎসাহিত করেন এবং ভবিষ্যতে এলাকার প্রান্তিক মানুষগুলির পাশে থাকার আশ্বাস দেন ।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।