রাজ্য

বড় নক্ষত্র পতন বাংলা সাহিত্য জগতে। প্রয়াত সাহিত্যিক দেবেশ রায়


নিউজ ডেস্ক:চিন্তন নিউজ:১৫ই মে:–১৪ই মে রাত্রি দশটা পঞ্চাশ মিনিটে চলে গেলেন বিখ্যাত সাহিত্যিক দেবেশ রায়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।

বাংলা সাহিত্যের এই প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক ১৯৩৬ সালের ১৭ ডিসেম্বর বর্তমান বাংলাদেশের পাবনা জেলার বাগমারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর জীবনের একটা বড় অংশ কেটেছে উত্তরবঙ্গে। সেই সূত্রেই লিখেছিলেন তিস্তা পাড়ের বৃত্তান্ত। ১৯৮৮ সালে লেখা তাঁর এই উপন্যাস ছকে ফেলা সাহিত্যের সীমারেখা ভেঙে ফেলেছিল। এই উপন্যাসের সৌজন্যেই ১৯৯০ সালে তিনি সাহিত্য আকাদেমি পুরষ্কার লাভ করেছিলেন।

১৯৭৯ সাল থেকে পত্রিকা সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন দেবেশ রায়। আহ্নিক গতি ও মাঝখানের দরজা’, ‘দুপুর’, ‘পা’, ‘কলকাতা ও গোপাল’, ‘পশ্চাৎভূমি’, ‘ইচ্ছামতী’, ‘নিরস্ত্রীকরণ কেন’, ও ‘উদ্বাস্তু’— এই আটটি গল্প নিয়ে দেবেশ রায়ে র প্রথম গল্পের বই প্রকাশিত হয়েছিল। তাঁর প্রথম প্রথম উপন্যাস যযাতি। তাঁর লেখা উল্লেখযোগ্য উপন্যাসগুলি হল: মানুষ খুন করে কেন (১৯৭৬), মফস্বলী বৃত্তান্ত (১৯৮০), সময় অসময়ের বৃত্তান্ত (১৯৯৩), তিস্তা পাড়ের বৃত্তান্ত (১৯৮৮), লগন গান্ধার (১৯৯৫) ইত্যাদি।

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছিলেন সাহিত্যিক দেবেশ রায়। আদ্যোপান্ত একজন বামপন্থী মানুষ ছিলেন। সেই সূত্রেই নিবিড় যোগাযোগ স্থাপিত হয় উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের সঙ্গে। রপ্ত করেছিলেন রাজবংশী ভাষা। কলকাতা শহরে ট্রেড ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন ওতোপ্রতোভাবে। শ্রমিকদের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল দেবেশবাবুর।

উত্তর শহরতলির বাগুইআটির বাসিন্দা ছিলেন দেবেশ রায়। বুধবার তাঁকে তেঘরিয়া এলাকার উমা নার্সিং হোমে ভরতি করা হয়েছিল। দির্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার শেষ হয়ে যায় তাঁর শরীরের যাবতীয় লড়াই। এদিন রাত ১০টা বেজে ৫০ মিনিট নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।