নিউজ ডেস্ক:চিন্তন নিউজ:২৩শে এপ্রিল:- পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার করোনা সম্পর্কিত তথ্য গোপন করে চলেছেন, এ বিষয়ে সোচ্চার বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। সিপিআইএম নেতা সূজন চক্রবর্তী এই মর্মে একটি পোস্ট দেন তাঁর নিজ ফেসবুক ওয়ালে। তিনি উল্লেখ করেন পশ্চিমবঙ্গে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৭। এবং সেই সাতজনের একটি তালিকাও দেন সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। সেই তালিকায় জগৎবল্লভপুরের এক মৃতা মহিলার নাম ছিল।
জগৎবলভপুরের ২নং গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান রঞ্জন কুন্ডু স্থানীয় থানায় সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন।
পঞ্চায়েত প্রধান রঞ্জন কুন্ডুর দাবি, জগতবল্লভপুরের যে মহিলার নাম উল্লেখ করেছেন সুজন চক্রবর্তী, তাঁর মৃত্যুর কারণ হৃদরোগ আক্রান্ত বলে ডেথ সার্টিফিকেটে উল্লেখ আছে, এই মর্মে সিপিআইএম হাওড়া জেলা সম্পাদক বিপ্লব মজুমদার বলেন, জগৎবল্লভপুরের ঐ মহিলার সৎকার করোনা আক্রান্তের মতই করা হয়েছিল। আইনের পথে লড়াই করতে প্রস্তুত সিপিআইএম।
বাম পরিষদীয় দলনেতা এই প্রেক্ষিতে বলেন, রাজনীতির আঙিনায় তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর কোনো নতুন কিছু নয়। প্রায়শই এসবের মুখোমুখি তাঁদের হতে হয়। তিনি আরও বলেন,যিনি এফআইআর করেছেন, তিনি যেন অবশ্যই কোর্টে উপস্থিত থাকেন। তথ্যগোপন হচ্ছে একথা প্রায় সর্বজন স্বীকৃত। সুজন চক্রবর্তী বলেন, তিনি সাতজনের নাম উল্লেখ করেছেন, তর্কের খাতিরে যদি মেনেও নেওয়া হয়, যে জগৎবল্লভপুরের মহিলা করোনায় মারা যাননি। তা হ’লেও কিন্তু বাকি ছয় জনের তালিকা সত্যি। সরকারি তথ্য কিন্তু এই কথা বলছে না। প্রতিদিন এ রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত বা মৃতের তথ্য, কেন্দ্র যা দিচ্ছে তার সাথে সম্পূর্ণ আলাদা। এটা কেন??
সিপিআইএম নেতা সূজন চক্রবর্তীর বক্তব্য- তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করেছেন, করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা নিয়ে। কেন মূখ্যমন্ত্রী তাঁর চ্যালেঞ্জের উত্তর দিচ্ছেন না। তথ্যগোপন নিয়ে আশংকা প্রকাশ করেছেন সূজন চক্রবর্তী। তাঁর মতে এই রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে শুধুমাত্র তথ্যগোপন করার জন্য।এর একটা বিহিত অবিলম্বে দরকার