রাহুল চ্যাটার্জি:চিন্তন নিউজ:৭ইমার্চ:–ঐতিহ্যবাহী শান্তিনিকেতনের বসন্ত উৎসব বন্ধ হয়ে গেল এই বছরের জন্য। সাম্প্রতিক কালে যার নজির নেই। আশঙ্কার মেঘ ছিলই, তবে তার কারণ ছিল ভিন্ন , যেহেতু বহু বছর বাদে অতিরিক্ত ভিড়ের ঝক্কি না পোহাতে এবারের বসন্ত উৎসব হবে ঠিক হয়েছিল মেলার মাঠে।
গতবারের ভিড় বিশ্বভারতীর কর্মকর্তাদের কপালে ভাঁজ ফেলেছিল ও তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে বিশ্বভারতীর পক্ষে এতবড় একটা উৎসব আয়োজন করা সম্ভব হবে না।। পরে রাজ্য সরকারের মদতে ঠিক হয় বসন্ত উৎসব আশ্রম বা ক্যাম্পাসের মধ্যে না হয়ে সেটি হবে মেলার মাঠে। যদিও এই সিদ্ধান্ত নিয়েও একাংশ আশ্রমিক ও ছাত্রছাত্রী খুশি ছিলেন না, তারা বলেছিলেন যে এই সিদ্ধান্ত বিশ্বভারতীর ঐতিহ্যের পরিপন্থী যেহেতু বরাবর তারা আশ্রম প্রাঙ্গনেই বসন্ত উৎসব এর আয়োজন দেখে আসছেন।
তবে গতকাল মেলার মাঠে বসন্ত উৎসবের আয়োজনেও শেষ অব্দি ইতি টানা হলো- কারণ হিসেবে প্রধান যেটি সামনে আসছে তা হলো ইউজিসির র পাঠানো একটি চিঠি, যার প্রথম কলামেই লেখা যে প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয় এই কয়েকদিনের মধ্যে কোন বড় জমায়েতের আয়োজন করতে পারবে না বা সেইসমস্ত কর্মসূচি এড়িয়ে যাবে করোনা ভাইরাসের ভারতে আগমনের ফলে।।এছাড়াও ওই চিঠি তে ইউজিসির পক্ষ থেকে কিছু স্বাস্থ্য বিধিকরণ পালন করার জন্য দেওয়া হয়।। এই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ৬ই মার্চ বিশ্বভারতীর রথীন্দ্র অতিথি গৃহে দুপুর ৩টেই বসে কর্ম সমিতির বৈঠক, ও সেখানে সর্বসম্মত ভাবেই বসন্ত উৎসব বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সন্ধের মধ্যেই এই মর্মে নোটিস জারি করে বিশ্বভারতী।।
পরবর্তীকালে বসন্ত উৎসব হবে কিনা এই বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। রাষ্ট্রপতি মনোনীত বিশ্বভারতীর কর্মসমিতির সদস্য সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “করোনা ভাইরাসের কথা মাথায় রেখে এবার বাতিল করা হল বসন্তোৎসব।”
ছাত্রছাত্রীরা এই বার্তা পেয়ে কিছুটা হতাশ হলেও তাদের মনে বসন্তের রং এখনো মুছে যায় নি।।অনেকেই মনে করছেন এর পরেও কিছু একটা সিদ্ধান্ত আসবে যাতে তারা অন্যান্য বারের মত নিজেদের রাঙিয়ে নিতে পারবেন।। যদিও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ জারি করা নোটিসে স্পষ্টতই জানিয়েছেন যে আজ শনি-রবির ছুটির পাশাপাশি ৯ তারিখও সমস্ত বিভাগ বন্ধ থাকবে দোল যাত্রার ছুটি হিসেবে।।