বিদেশ

বাংলাদেশে করোনা’ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ কমিউনিষ্ট পার্টির ভূমিকা


নাজমুল হাসান(ঢাকা) চিন্তন নিউজ:২১শে এপ্রিল:- বাংলাদেশে গত ৮ই মার্চ কোভিড ১৯ সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়ার পর প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ১৮ই মার্চ। আজ পেরিয়ে গেছে দেড়মাস। মোট মৃত্যু ছাড়িয়ে গেছে শতকের ঘর আর সংক্রমণ তিন হাজারের বেশি। ধারণা করা হচ্ছে- এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ কিংবা মে’র প্রথমার্ধে করোনা তার তান্ডব শুরু করবে বাংলাদেশে।

ইতোমধ্যে বিদেশি নাগরিকদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার তোরজোর দেখা গিয়েছে। এমনকি যেসব দেশ, যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইতোমধ্যে করোনায় বিপর্যস্ত, তা সত্ত্বেও তারাও বাংলাদেশের চেয়ে নিজ দেশে ফিরে যাওয়া নিরাপদ মনে করছেন। এতেই ইঙ্গিত মেলে নভেল করোনা ভাইরাস কতটা ভয়াবহ আকার ধারণ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশে। আর ঢাকা ও তার আশপাশের জেলা নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরই হচ্ছে হটস্পট।

মোট আক্রান্ত রোগীর এক তৃতীয়াংশ কেবল ঢাকারই। সরকার প্রধান শেখ হাসিনা নাগরিকদের মনোবল ধরে রাখতে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালের দুঃসহ দিনগুলোর স্মৃতিচারণ করেন। তবে সরকারের ত্রান পরিচালনায় সুশাসনের অভাব প্রকট ভাবে ধরা পড়ছে মুলধারার সব গণমাধ্যমে। ত্রান চুরির খবরে ছয়লাপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। শুরু থেকে যথাযথ প্রতিরোধমুলক ব্যবস্থা নিতে না পারা, উপরন্তু ” করোনার চেয়ে আওয়ামী লীগ অধিক শক্তিশালী ” ইত্যাদি মন্তব্য করা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দুর্নীতি নাগরিকদের উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ।

বর্তমানে পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে প্রশাসনের ব্যর্থতা। সেনা টহলেও গা করছেন না সাধারণ মানুষ। গোদের উপর বিঁষফোরা হয়ে কাজ করছে বেতন-ভাতার দাবিতে গার্মেন্টস শ্রমিকদের নিত্যদিনের বিক্ষোভ। এখানে উল্লেখ্য, সম্প্রতি কাজে যোগদানের কথা বলে একদিনের ব্যবধানে সারাদেশ থেকে হাজার হাজার শ্রমিকের পায়ে হেঁটে ঢাকায় আসা এবং পরদিন ফিরে যাওয়া নিয়ে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে সব মহলে। বাংলাদেশের প্রগতিশীল সব সংগঠন গার্মেন্টস শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় নিরন্তর কাজ করে চলছে।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধেও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, ছাত্র ইইউনিয়ন, যুব ইউনিয়ন নানা কর্মসুচী হাতে নিয়েছে। ছাত্র ইউনিয়নই প্রথমবার হ্যান্ড স্যানিটাইজার বানিয়ে শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে বিতরণ করে যা অনুপ্রাণিত করে আরও অনেক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনকে। যুব ইউনিয়ন ‘ধান কাটার ব্রিগেড গড়ো, মাঠে চলো’ কর্মসূচি নিয়ে দাঁড়িয়েছে কৃষকের পাশে। সিপিবি তৈরি করেছে চিকিৎসা সহায়তা দল। উদীচী সহ অন্যসব গণসংগঠনও মাঠে রয়েছে নিজ নিজ কর্মসূচি নিয়ে।

এখন করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ যতটা না কাজ করছে তারচেয়ে অনেক বেশি উদ্বেগ শুরু হয়েছে করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক মন্দা নিয়ে। সরকারের ৯৫ হাজার কোটি টাকার প্রনোদনা মানুষের মনে স্বস্তি দিতে পারেনি। কারণ, সর্বস্তরে সর্বগ্রাসী দুর্নীতি।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।