সুপর্ণা রায়: চিন্তন নিউজ:৩০/০৩/২০২৩:– আবার পকেটে টান পড়তে চলেছে ভারতবর্ষের আমজনতা র । যখন প্রতিটি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আকাশছোঁয়া ,পেট্রোল , ডিজেল,রান্নার গ্যাসের দামে নাজেহাল অবস্থা সাধারণ মানুষের, ঠিক তখন দেশজুড়ে আবার বাড়তে চলেছে ওষুধের দাম ।
সুত্রের খবর অনুযায়ী আগামী ১ লা এপ্রিল থেকে হৃদরোগ , পেন কিলার , আ্যন্টিবায়োটিক, আ্যন্টি ইনফেকটিভ ওষুধের দাম বাড়তে চলেছে । কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রায় বারো শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে ওষুধের দাম আর এই নিয়ে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে ন্যাশানাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি। আমজনতাকে বিপাকে ফেলে প্রায় আটশো প্রকারের ওষুধের দাম বৃদ্ধি হতে চলেছে। পর পর দু’ বছর ওষুধের দাম বাড়ালো এন পি পি এ। ওষুধের মূল্য বৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের অবস্থা দূর্বিসহ হয়ে উঠবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল । সবচাইতে বড় বিপদের সন্মুখীন হবেন অবসরপ্রাপ্ত নাগরিক গন । তাঁদের সীমিত আয় কিন্ত তাঁদের আয়ের বেশীরভাগ টাই বেরিয়ে যায় ওষুধের খরচে ।
এদিকে চিকিৎসক রা ওষুধের দাম বৃদ্ধি তে প্রধানত দায়ী করেছেন কেন্দ্রের সরকারকে। পরিষ্কার করে তাঁরা জানিয়েছেন যে কর্পোরেট ওষুধ ব্যাবসায়ী রাত যাতে বেশী লাভবান হন তার জন্য ই এই পদক্ষেপ মোদী সরকারের। ড্রাগ প্রাইস কন্ট্রোল অর্ডার প্রতি বছর কেন্দ্রের সরকার পরিবর্তন করে আর এর ফলে ওষুধ নির্মাতা কোম্পানি গুলো ওষুধের দাম বাড়ানোর সুযোগ পায় । কিন্তু মোদী সরকারের বর্তমান অবস্থান অনুযায়ী কোন ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণের আর থাকলো না । ফলে কোম্পানী গুলো নিজেদের ইচ্ছামত দাম বাড়াতে পারবে । ওষুধ কোম্পানি গুলোর দাবী যে ওষুধ তৈরি করতে যে কাঁচামাল লাগে তার মূল্যবৃদ্ধি , ওষুধ পরিবহন খরচ ও ওষুধ বাজারজাত করা সব ক্ষেত্রেই মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে তাই ওষুধের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব রাখা হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে । এদিকে করোনা পরিস্থিতির সময় কর্মহীন হয়েছেন বহু মানুষ । সব জিনিসপত্র এর দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে । কেন্দ্রীয় সরকারের এই জনবিরোধী কাজের জন্য সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষ ,বয়স্ক মানুষ , কর্মহীন মানুষ সকলের সামনে সমূহ বিপদ বলে সব মহলের ধারণা।