দেশ

অতিমারীতে গুজরাটের পুষ্টিতো দূর , ক্ষিদে মেটেনি দরিদ্র মানুষের


সুপর্ণা রায়: চিন্তন নিউজ:১১ই ডিসেম্বর:- প্রায় শোনা যায় পশ্চিমবাংলাকে গুজরাটের মতো সমৃদ্ধ শালী বানাবেন , সোনার বাংলা গড়বেন। কিন্তু খবরে প্রকাশ এই যে এতবড়ো একটা অতিমারী পরিস্থিতিতে গুজরাটের পরিস্থিতি বেশ খারাপ।। মানুষের কাজ তো নেই ই , এবং তার ফলে গুজরাটের জনসংখ্যার প্রায় কুড়ি শতাংশ মানুষ এর সামান্য তম খাওয়া জোটেনি। অন্ন সুরক্ষা আইনের তরফে বিশেষ সমীক্ষাতে এমনটাই জানা গেছে।।

ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর রাজ্য গুজরাটে দারিদ্র্য সীমার নিচে থাকা অন্তত ২০’৬ শতাংশ মানুষ। অতিমারীর সময়ে কখনো একবেলা আবার কখনও না খেয়ে দিন কাটিয়েছেন। আর একদিকে জানা গেছে ২১’৬ শতাংশ মানুষ প্রায় প্রত্যেকদিন একবেলা খাবার খেতে পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কোটি কোটি টাকা খরচ করে রামমন্দির বানাচ্ছেন বা নতুন সংসদ ভবন বানাচ্ছেন অথচ তাঁর নিজের রাজ্যে মানুষ পেটে ক্ষিদের জ্বালা নিয়ে দিনের পর দিন , রাতের পর রাত কাটিয়েছে। সেই রাজ্যে আবার ক্ষমতায় বিজেপি।

সেপ্টেম্বর- অক্টোবর মাসে গুজরাটের ভারচু, আহমেদাবাদ,ভাবনগর প্রভৃতি জায়গায় খাদ্য সুরক্ষা ও পুষ্টি র উপর এক বিশেষ সমীক্ষা চালানো হয়।। সমীক্ষাতে অদ্ভুত এক তথ্য দেখতে পাওয়া গেছে।। গুজরাটের প্রায় অধিকাংশ মানুষের রেশনকার্ড বাতিল হয়ে গেছে! জানতে চাইলে বলা হয় যে জনগণ ঠিকমতো তথ্য না দেওয়ায় এমন ঘটনা ঘটেছে। রেশনকার্ড বাতিল করা হয়েছে যাদের তাদের মধ্যে প্রায় সবাই ই দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করেন, এমনটাই সমীক্ষা রিপোর্টে প্রকাশ। কেন তাঁরা তাঁদের রেশনকার্ড গুলো ব্যবহার করতে পারলেন না সেটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।

অনেক এলাকায় আবার কোভিড-১৯ এর মারাত্মক সময়ে খাদ্যসুরক্ষার আইন নিয়ে জেলা বা জেলাস্তরে কোন আলোচনা করা হয়নি।। সমীক্ষাতে আর‌ও দেখা গিয়েছে প্রায় ৩৮ শতাংশ মানুষ চাল বা ডাল খাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন। ৪০’৭ শতাংশ মানুষ এখনো পর্যন্ত গম, জোয়ার,বাজরা বা ডাল খাচ্ছেন না। ৫৬’৭ শতাংশ মানুষ শাকসবজি একদমই খাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন। যারা এমনভাবে জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা প্রায় সকলেই দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস কারী মানুষজন। নূন্যতম পুষ্টি পাচ্ছেন না গুজরাটের অধিকাংশ নিম্নবিত্ত মানুষ। প্রশ্ন উঠছে এই গুজরাট কি ভারতের প্রতিচ্ছবি?


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।