বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

ব্যাপারটা ভাইরাস, আতঙ্কটা ভাইরাল (পর্ব ৪)


শ্যামল চ্যাটার্জি: চিন্তন নিউজ:২৯শে মে:- এবার আসা লক ডাউন প্রসঙ্গে। কেন এই লক ডাউন? চিকিৎসকরা জানিয়েছেন চেইন ব্রেকের জন্য জরুরী। সত্যিই কী তাই নাকি এর পিছনে অন্য কোন কারণ আছে?
চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন যে এই কোভিড-১৯ এর সংক্রমন ক্ষমতা অনেক হলেও মারণ ক্ষমতা একেবারেই নেই। আগেই তা বিস্তারিতভাবে দেখিয়েছি। যে রোগগুলোর কথা আগেই উল্লেখ করেছি সেইগুলো প্রতিরোধে কোন লক ডাউন করা হয়নি কেন?
কোভিড-১৯ এর ওষুধ নেই তাই। যুক্তিটা বড়ই নড়বড়ে।
ওষুধ থাকা সত্ত্বেও টিবি রোগে প্রতি মাসে ১ লক্ষ ২৫ হাজার, বছরে ১৫ লক্ষ মানুষ মারা যায়। যেখানে কোভিড-১৯ এ গড় মাসিক মৃতের সংখ্যা প্রায় ৫৪ হাজার মাত্র। তাহলে তো প্রশ্ন থেকেই যায় টিবির জন্য লকডাউন নয় কেন ?
সাধারণ ফ্লুতে বছরে প্রায় ৩ থেকে ৬.৫ লক্ষ মানুষ মারা যান। এই ফ্লু মূলত মরশুমী। সাধারণ ফ্লু’র জন্য লকডাউন নয় কেন?
এই ‘কেন’-র উত্তর খুঁজতে গেলে এইরকম অনেক কেন আমাদের সামনে আসবেই।
আমাদের প্রথমেই মানতে হবে যে পুঁজিপতিদের কাছে সারা বিশ্বে চিকিৎসা একটা বিরাট বড় বাজার। এই বাজার দখলের জন্য কর্পোরেটরা নানা পদ্ধতি অবলম্বন করবেই। এইক্ষেত্রেও বিজ্ঞাপন প্রয়োজন। ভোগ্যপন্যর বিজ্ঞাপনের থেকে আলদা হবেই। ১৯৮১ সালেও HIV সহ বিভিন্ন মহামারীগুলিকে বিশ্বজুড়ে প্রচারের আলোয় এসেছিল। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই মুখ্য ভূমিকায় দেখা গিয়েছে WHOকে। আর এইসব মহামারী ও রোগকে কেন্দ্র করে সারা বিশ্ব জুড়ে অনেক NGO গড়ে ওঠে। এদের মাধ্যমে এক বিশাল ব্যবসা করা হয়।
৩০ বছরের বৈজ্ঞানিক গবেষণায় অভিজ্ঞতাসম্পন্ন আমেরিকান প্রাক্তন মেডিকেল গবেষক, সেলুলার ও মলিকুলার বায়োলজিস্ট ডঃ জুডি আন মিকোভিটস বলেন ডঃ অ্যান্টনি ফাউসি বিশ্বব্যাপী এইডস ছড়ানোর ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষভাবে দায়ী। আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ এলার্জি এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজ এর ডিরেক্টর ডঃ অ্যান্টনি ফাউসিই কোভিড-১৯কে মূল চরিত্র করে মহামারির চিত্রনাট্যর রচয়িতা।
১৩.১১.২০১৭ তারিখে ডঃ অ্যান্টনি ফাউসি ওয়াশিংটন ডিসির হোয়াইট হাউসে “মহামারীর প্রস্তুতি, কৌশল এবং প্রয়োগ” শিরোনামে এক ভিডিও প্রেজেন্টেশন দেন। সেখানে তিনি আগামীতে ফ্লু মহামারীর বিষয়ে আলোকপাত করেন এবং প্রতিরোধের জন্য ভ্যাকসিন প্রস্তুতির ওপর জোর দেন। HIV ভাইরাসের ভ্যাকসিনের জন্য ডঃ ফাউসি ট্রিলিয়ন ডলার অর্থ পেয়েছিলেন। ইউএস আর্মি মেডিকেল রিসার্চ ইনস্টিটিউট অফ ইনফেকশাস ডিজিজ ল্যাব যেখানে তিনি ইবোলা ভাইরাস এর উপর গবেষণা করেছিলেন এবং উহান বায়োসেফটি ল্যাব দুটিই ডঃ অ্যান্টনি ফাউসির প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় পরিচালিত হয়। শুধু ডঃ জুডি আন মিকোভিটস নন, ইমেইল ইনভেন্টর হিসেবে খ্যাত ডঃ শিব আইয়াদুরাই, বায়োলজিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের MIT PhD ইমিউন সিস্টেমের উপর গবেষণা করে ডকুমেন্ট তৈরি করেন। তিনিও বলেছেন – “করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক তৈরি করে অর্থনীতিতে কারসাজি ইতিহাসের সবচেয়ে বড় প্রতারণা”। তিনি এও বলেন যে ইমিউন সিস্টেম ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার ভুল বিজ্ঞান ব্যাখ্যা করে ফাউসি মহামারির প্রচার ও পরিকল্পনা করে এসেছেন। আর সহ পরিচালক হিসেবে ফাউসির সাথে আছেন বিগ ফার্মা, গেটস ফাউন্ডেশন, ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ, চ্যান জাকারবার্গ, WHO এবং CDC।
২৩.০৩.২০২০ তারিখে তিনি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চিঠি লিখে জানান-
” এই চিঠিটি আমেরিকান জনগণের অনাক্রম্যতা এবং অর্থনৈতিক স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারের একটি সমাধান প্রস্তাব। ডঃ অ্যান্টনি ফাউসির জনস্বাস্থ‍্য নীতিটি আমাদের নাগরিকদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং দেশের অর্থনৈতিক স্বাস্থ্যকে ধীরে ধীরে দীর্ঘমেয়াদী ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেবে- সম্ববত সচেতন উদ্দেশ্যেই। পুরো দেশটি লকডাউন করার দরকার নেই, সমস্ত নাগরিকদের কোয়ারেন্টাইন করার দরকার নেই। সকল নাগরিকদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে উন্নত করতে সুস্থ নাগরিকদের কাজে ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন। ইমিউন সিস্টেম এর আধুনিক বিজ্ঞান আমাদের অবহিত করে যে আতঙ্ক জনিত প্রতিক্রিয়া আমাদের দেহের কোষগুলিকে আক্রমণ করে হত্যা করে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রচলিত মেডিকেল ট্রেনিং গুলির মাধ্যমে ইমিউন সিস্টেমের প্রাথমিক বিজ্ঞান সম্পর্কে ডাক্তারদের প্রশিক্ষিত করানো হয় না।”
এই চিঠির সমর্থনে ০৩.০৪.২০২০ তারিখে ৯৫,২৪৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিকট একটি পিটিশনও দায়ের করেন।
এই নিয়ে আরো কিছু কথা পরের পর্বে ।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।