চৈতালী নন্দী:চিন্তন নিউজ:১০ই অক্টোবর:পিছিয়ে পড়ছে ভারত,ব্রিকস (BRICS) দেশগুলোর মধ্যে শেষ থেকে দ্বিতীয়।।
মোট পাঁচটি দেশ নিয়ে গঠিত হয়েছে ব্রিকস নামক এই আন্তর্জাতিক সংস্থাটি ।এদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী অর্থনৈতিক ভাবে ভারতের স্থান শেষ থেকে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে।অর্থনৈতিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ভারত অনেক পিছিয়ে রয়েছে।বিভিন্ন সামাজিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে বিচার করলে দেখা যাচ্ছে যে প্রচার যতটা হচ্ছে উন্নয়ন এর মান সেভাবে বাড়েনি।শুধুমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের জন্যে এই ভাবে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখিয়ে আদতে যে দেশের কোনো উন্নতি হয়না ,তা আজ প্রমাণিত।জেনেভায় অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরাম এর দেওয়া গ্লোবাল কম্পিটিটিভনেস ইনডেক্স এ ভারত আরও ১০ ধাপ নেমে ৬৮ তম স্থানে।ব্রাজিল রয়েছে ৭১ তম স্থানে।যে ব্রাজিলকে অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে পড়া ,বলে মনে করা হয়,ভারতের অবস্থান তার থেকে খুব দূরে নয়।
এই যে ভারতের পিছিয়ে পড়া এর প্রধান কারন হিসেবে গন্য করা হয় দেশের দূর্বল স্বাস্থ্য ব্যাবস্থা কে।শুধুমাত্র স্বাস্থ্য ব্যাবস্থা ই নয় দেশের সর্বত্র স্বাস্থ্যকর পরিবেশেরও অভাব রয়েছে ।তাদের মতে এছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যাবহারের ব্যাপ্তি বিশেষ বাড়েনি।যে গতিতে অন্যান্য দেশগুলো তথ্যপ্রযুক্তি র ব্যাবহার বাড়িয়েছে ভারতে তা সেভাবে বাড়েনি।ঐ সংস্থা র মত দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশের মধ্যে ভারতের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ।১৪১ টি মহানগর এর মধ্যে দিল্লি ১০৯ তম স্থানে অবস্থান করছে।
ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের পরামর্শ অনুযায়ী ভারতের কর্মীদের দ্রুত দক্ষতার হার বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে উৎপাদন হারও বাড়ানো দরকার।ভারতের শ্রমিকদের জন্যে নেই যথেষ্ট সুরক্ষার ব্যবস্থাও।এছাড়াও কর্মক্ষেত্রে মহিলা দের উপস্থিতির হার ও বেশ কম।শ্রমবন্টন ব্যবস্থায় অসাম্য ও এই ব্যবস্থার পরিকাঠামোর অভাবও এই দেশের অবস্থান কে আরও নিম্নমুখী করেছে।শুধুমাত্র গালভরা প্রতিশ্রুতি নয়, এই বিষয় সমূহকে প্রকৃত গুরুত্ব না দিলে দেশের সার্বিক উন্নয়ন কখনোই সম্ভব নয়।
![](https://chintannews.com/wp-content/uploads/2019/10/IMG_20191010_055422-1024x510.jpg)