বিশেষ প্রতিবেদন :শুক্লা ভৌমিক: চিন্তন নিউজ: ২২/১১/২০২২:– ইতিহাস সাক্ষী রয়েছে, সৃষ্টির গোড়া থেকেই মানুষের লোভ ও লালসার শিকার প্রকৃতি ও বন্যপ্রানী। বর্তমান যুগে বিশ্বায়ন ও তথাকথিত উন্নয়নের নামে চলছে নির্বিচারে বন ও বন্যপ্রানী ধ্বংস । শুধুমাত্র ২০১৯থেকে ২০২০, এই এক বছরে ভারতে ৩৮.৫হাজার হেক্টর বনভূমি ধ্বংস হয়েছে, যা ভারতের মোট বনভূমির ১৪%। আর বনভূমি ধ্বংসের ফলে বন্য প্রাণীকুল নিরুপায় হয়ে খাদ্যের সন্ধানে এসে উপস্থিত হচ্ছে লোকালয়ে।
সম্প্রতি জলপাইগুড়ি বিন্নাগুড়ি সেনা হাসপাতালে হাতির উপদ্রব দেখা যায়। এরপর সেই উপদ্রব জলপাইগুড়ি শহরে এসে উপস্থিত হয়। অতি সম্প্রতি তিস্তা নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকায় চিতা বাঘের আনাগোনা দেখা যায়। আতঙ্কে গ্রামবাসীরা চাষবাস বন্ধ করে দেয়। সাধারন গ্রামবাসীদের সাথে যোগাযোগ করে যানা যায়, জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কারনে জেলায় প্রচুর বনভূমি ধ্বংস হয়েছে। জেলার পরিবেশপ্রেমী রা জানাচ্ছেন, সড়ক নির্মাণ ছাড়াও ঢালাও হোটেল, রিসর্ট নির্মাণও এই বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ। অরণ্যের মধ্যে এই হোটেলগুলোতে রাত্রে এত পরিমাণ আলোয় আলোকিত থাকে এবং উচ্চস্বরে গান বাজনা হতে থাকে যে, বন্য প্রাণীদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বাধা প্রাপ্ত হচ্ছে।
প্রতি বছর ঘটা করে অরন্য সপ্তাহ, বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত হচ্ছে, কিন্তু পরিবেশ বিষয়ক সচেতনতা আজও তলানিতেই রয়েছে। বাণিজ্যের কাছে সরকার আত্মসমর্পণ করেছে। আজ উপলব্ধির সময় এসেছে নিজেদের প্রমোদ, ফুর্তির জন্য পরিবেশের ওপর যথেচ্ছ অত্যাচার বন্ধ করার। এখন সময় পরিবেশকে বাঁচানোর — পরিবেশকে রক্ষা করার। সরকারের বন দফতর, বনমন্ত্রী, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী, পরিবেশ দফতর, পরিবেশ মন্ত্রী, গ্রীন ট্রাইব্যুনাল ইত্যাদি বিভাগ গুলো তাদের অস্তিত্ব জানান দিক।