জেলা

রাজ্যপালের ট্যুইটে চড়ল উত্তেজনার পারদ,মালদার হরিশচন্দ্রপুরে


মাধবী ঘোষ :চিন্তন নিউজ:১১ই মে:–একে করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক । তারপর এলাকায় শুক্রবার থেকে এখন পর্যন্ত 10 করোণা রোগী। স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর এক নম্বর ব্লকে । এই পরিস্থিতিতে হরিশ্চন্দ্রপুর চন্ডিপুরে প্রবল হিংসায় ছড়িয়েছে উত্তেজনা । পরিস্থিতি এখানে এতটাই জটিল যে সোমবার সেখানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সমস্ত রাজনৈতিক দল । ১৪৪ ধারা চললেও পরিস্থিতি আদৌ নিয়ন্ত্রণে থাকবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে । এহেন অবস্থায় উত্তেজনার পারদ ছড়িয়েছে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের একটি ট্যুইট ।

জানা গিয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুরের বাসিন্দারা বাঁশের বেড়া দিয়ে এলাকা সিল করে দেয়। কারণ গ্রাম লাগোয়া মানকি বাড়িতেই করোনা আক্রান্ত রোগী মিলেছে । এই নিয়ে মানকি বাড়ির বাসিন্দারা প্রতিবাদ করে । অভিযোগ, চন্ডিপুরের বাজারের ওপর নির্ভর করে মানকি বাড়ির বাসিন্দারা। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে সেই বাজার বন্ধ করে দেয় চন্ডিপুরের মানুষ। এতে মানকি বাড়ির বাসিন্দাদের সঙ্গে রেষারেষি বাড়তে থাকে। এছাড়াও গত কয়েকদিন ধরে নানা ছোটোখাটো ঝামেলা তর্কাতর্কি লেগেই থাকছিল মানকি বাড়ির ও চন্ডিপুরের মানুষের মধ্যে । এরমধ্যে চন্ডিপুরের এক হাতুড়ে চিকিৎসক বিশেষ সম্প্রদায়ের রোগী দেখবেন না বলে ঘোষণা করেন বলে অভিযোগ। তিনি নাকি যুক্তি দেন মান কি বাড়িতে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। এই নিয়ে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। পুরো বিষয়টি গড়ায় বচসায়। অভিযোগ রবিবার রাতে একদল মানুষ চড়াও হয় চন্ডিপুরে । অভিযোগ হামলাকারীরা সকলেই মানকিবাড়ির । চন্ডিপুরে থাকা বাঁশের বেড়া উপরে ফেলে দেয় হামলাকারীরা । একাধিক গ্রামবাসীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ।এমনকি চন্ডিপুরের স্থানীয় মন্দিরের বিগ্রহ ভাঙচুর করে হামলাকারীরা।

রাতেই এলাকায় পৌঁছে যায় পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসা হয় হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় । কিন্তু এরপর থেকেই এলাকায় উত্তেজনা বাড়তে থাকে। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব এই ঘটনা নিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর কথা জানিয়ে জানিয়ে দেয়। এমনকি তাদের প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে যাবে বলেও সূত্রের খবর। বিজেপি তৃণমূল এলাকাতে উত্তেজনা ছড়াতে থাকে। সিপিএম ও কংগ্রেস জানিয়ে দেয় তারা ঘটনাস্থলে যাবে পরিস্থিতি পরিদর্শন করতে।

পরিস্থিতি যখন রাজনৈতিকভাবে জটিল হয়ে উঠছে ঠিক সেই মুহূর্তে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের ট্যুইট। যা স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় আলাদা মাত্রা যোগ করে দিয়েছে বলে মানছে মালদহ জেলার সব রাজনৈতিক দল। পুলিশ আপাতত এলাকার ১৪৪ ধারা প্রয়োগের পথে হাঁটছে বলেই খবর ।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।