রাজ্য

বিপদের সাথে ঘর করা সাগর নামখানার মানুষদের খোঁজ নেয়না সরকার।


সূপর্ণা রায়:চিন্তন নিউজ:৫ই জুন:-মানুষের বিপদের সময় যে নেতাকর্মীদের বা মন্ত্রীদের দেখা মেলে না এই অভিজ্ঞতা সাগর নামখানার মানুষদের থেকে ভালো আর কেউ জানে না। আগেই এই অঞ্চলের মানুষের ঘর,বাড়ি ও জমিজিরেত যা কিছু সম্বল বঙ্গোপসাগর গিলে খেয়েছে।। এর উপর গত ১৪ দিন আগে ঘূর্ণিঝড় আমফান তান্ডব চালিয়েছে গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো।। আমফানের জেরে ভেঙেছে নদীবাধ।। কখন কী হয় এই আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন ওই অঞ্চলের সর্বহারা মানুষ গুলো।।

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ও লকডাউন পরিস্থিতিতে এমনিতেই তাদের তেমন কোন রোজগার নেই তার উপর বঙ্গোপসাগরের অনবরত চোখরাঙানি। জেরবার মানুষ গুলো। তাদের এই দূর্দশার দিনে কোন সাহায্য তো দূরের কথা দেখা মেলেনি তৃনমুল কংগ্রেস সরকারের কোন নেতা, মন্ত্রী বা বিধায়কের।। এদিকে এখানে ত্রানের জন্য চলছে হাহাকার।।। খবরে প্রকাশ এই অঞ্চল পরিদর্শনে আসেন বামফ্রন্ট পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী ও কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান।।। তাঁদের কাছে পেয়ে মানুষ ক্ষোভ উগরে দেন শাসক দলের বিরুদ্ধে।। তারা জানিয়েছেন যে সাগর ও নামখানা অঞ্চলে ত্রান নিয়ে তৃনমুল চুড়ান্ত দলবাজি চালাচ্ছে।। তারা সিপিআই(এম) এর সুজন চক্রবর্তী ও কংগ্রেস এর আব্দুল মান্নানকে জানান যে আমফানের পর চৌদ্দ দিন পেরিয়ে গেছে কেউ আসেনি মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন এই অঞ্চলের খবর নিতে।। সুজন চক্রবর্তীকে জানান তাঁরাই এসেছেন ওই মানুষ গুলোর খোঁজ খবর নিতে।। শুধু আমফান এ নয় গত চার বছরে সুমতি নগর ,বঙ্কিম নগরের প্রায় ৩০০ বিঘা জমি বঙ্গোপসাগরের পেটে গেছে।। ঘর,জমি বসতবাড়ি সব একে একে সাগরের জলে ভেসে গেছে।। এই অবস্থাতে তারা কোন ক্ষতিপূরণ পান নি।।

এখন আমফান ঝড়ে নদীবাধ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে।। ঘরবাড়িও ভেঙেছে প্রচুর।। তারা একটা ত্রিপল পর্যন্ত পান নি মাথা গোঁজার জন্য।। ঘরবাড়ির সাথে চাষের জমি , পানের বরজ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে।। এই একই অভিযোগ করেছেন মহিষমারী বেগুয়াখালি অঞ্চল এর বাসিন্দা রা।। বামফ্রন্ট পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী ও কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান এর কাছে নদীবাধ মেরামতি না করার অভিযোগ জানিয়েছেন।। এই এলাকার মানুষজন পরিষ্কার করে জানিয়েছেন যে যেহেতু সুজন বাবু ও মান্নান বাবু আসবেন তাই হঠাৎ জেসিপি দিয়ে মাটি কাটার কাজ শুরু করে তৃনমুলের নেতারা।। মাটি কাটা হচ্ছে দেখে এলাকাবাসী অবাক হয়ে যান।। তাঁরা জানিয়েছেন যে গত চার বছরে এই প্রথম বাঁধে মাটি দেওয়ার কাজ হচ্ছে।।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।