বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

ভয়ঙ্কর ‘ জল সংরক্ষণ এবং দূষণ নিয়ন্ত্রন আইন ( সংশোধিত) ২০২৪ যাতে রাজ্য বিধানসভা রেজোলিউশন নিয়ে কার্যকর না করে তার আবেদন জানিয়ে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী, স্পিকার, পরিবেশ মন্ত্রী, পরিষদীয় মন্ত্রীকে -চিঠি দিলো পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ।


সৌরভ চক্রবর্তী, নিজস্ব প্রতিবেদন: চিন্তন নিউজ:০৯/০৪/২০২৪:– বিগত মার্চ মাসে কেন্দ্রীয় সরকার ‘জল সংরক্ষণ এবং দূষণ নিয়ন্ত্রন আইন) ১৯৭৪’ কে সংশোধন ক’রে ‘ জল সংরক্ষণ এবং দূষণ নিয়ন্ত্রন আইন ( সংশোধিত),২০২৪ পাশ ক’রে গেজেট নোটিফিকেশন করে।
সংশোধিত আইনটিতে ভয়ঙ্কর দুটি বিষয় অন্তর্ভূক্ত হয়েছে।
১)জল সম্পদের ওপর থেকে রাজ্যের নিয়ন্ত্রন হ্রাস করা হয়েছে। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রন পর্ষদের ক্ষমতাকে কেড়ে নিয়ে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রন পর্ষদকে শক্তিশালী করা হয়েছে এবং অনেক প্রদূষণকারীদের ছাড় দেওয়া হয়েছে – এ ভয়ঙ্কর প্রবণতা।
২) ‘ জল সংরক্ষণ এবং দূষণ নিয়ন্ত্রন আইন ১৯৭৪ ‘ এ জল প্রদূষণকারীদের শাস্তি ছিল জরিমানা এবং জেল কিন্তু এখনকার ‘ জল সংরক্ষণ এবং দূষণ নিয়ন্ত্রন আইন ( সংশোধিত), ২০২৪ এ শুধু জরিমানার কথা বলা হয়েছে, জেল বাদ দেওয়া হয়েছে। ফলত আইনটিকে ভোঁতা করে দেওয়া হয়েছে। এতে প্রদূষকদের শাস্তির ভয় থাকবে না – জল দূষণের মাত্রা তীব্র হবে।
সংবিধানে জল হলো রাজ্যের অন্তর্ভূক্ত – বর্তমান আইনে রাজ্যের সে ভূমিকা অস্বীকৃত এবং তা কেন্দ্রীভূত – এই প্রবণতা মারাত্মক এবং সংবিধান বিরোধী।
বিশ্ব উষ্ণায়নের পরিপ্রেক্ষিতে জল সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে, নদী শুকিয়ে যাচ্ছে, নির্বিচারে জলাভূমি ভরাট হচ্ছে, মাত্রাতিরিক্ত উত্তোলনে মাটির তলার জলের স্তর ভয়াবহভাবে নেমে যাচ্ছে।
এই পরিপ্রেক্ষিতে জল দূষণের শাস্তি যেখানে কঠোর হওয়া দরকার সেখানে শুধু জরিমানার সংস্থান রেখে তাকে কার্যত ভোঁতা করে দেওয়া হলো। এ ভীষণ উদ্বেগের।
এখনও পর্যন্ত কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল এবং দুটি রাজ্য – যারা বিধান সভায় রেজোলিউশন নিয়েছে এই সংশোধিত আইন লাগু করার – হিমাচল প্রদেশ এবং রাজস্থানে এই আইন লাগু হয়েছে।
আমাদের রাজ্যে যাতে এই ভয়ঙ্কর আইন লাগু নাহয়, বিধান সভায় যাতে রেজোলিউশন না নেওয়া হয় তার আবেদন জানিয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী, স্পিকার, পরিবেশ মন্ত্রী, পরিষদীয় মন্ত্রীকে চিঠি দিলো।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।