মল্লিকা গাঙ্গুলী : চিন্তন নিউজ: ২৫শে মে:- “সবার হৃদয়ে রবীন্দ্রনাথ চেতনাতে নজরুল/ যতই আসুক বিঘ্ন বিপদ, হাওয়া হোক প্রতিকূল/ একহাতে বাজে অগ্নিবীণা, কন্ঠে গীতাঞ্জলি/ হাজার সূর্য চোখের তারায় আমরা যে পথ চলি!” বাঙালীর প্রতি মুহূর্তের অবলম্বন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং কাজি নজরুল ইসলাম এই দুই দিকপাল কবি। বিশ্ব দরবারে বাঙালীর বাঙালী হয়ে ওঠার সমস্ত কৃতিত্ব এই দুই মনীষীর! সমগ্র বাঙালী জাতিকে এখনও সুরে, ছন্দে, কথায় বেঁধে রেখেছেন গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ এবং বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম। বাংলার ১৩০৬ সালের ১১ই জৈষ্ঠ্য অবিভক্ত বর্ধমান জেলার প্রত্যন্ত গ্রাম চুরুলিয়ায় জন্মগ্রহণ ক’রে এক হত দরিদ্র অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী শিশু দুখু মিঞার বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম হয়ে ওঠার রোমহর্ষক কাহিনী আজ ইতিহাস।
নজরুল বিদ্রোহী কবি তার কাব্য বীণা “অগ্নিবীণা” তাতে ধ্বনিত হয়েছে চির যৌবনের গান; তাঁর বাঁশি “বিষের বাঁশি” যাতে রণিত হয়েছে সমস্ত প্রকার অমানবিকতার বিরুদ্ধে সুর ঝংকার। তিনি নিপীড়িত মানুষের ব্যথা বেদনার কাব্য কার, জীবনবাদী পরম মানবতাবাদী বলেই তিনি সাম্যবাদী কবি। নজরুলের কাল ভারতবর্ষের বুকে এক ক্রান্তিকাল। ব্রিটিশের পরাধীনতা থেকে স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্নিযুগে নজরুলের মনন, চিন্তন সেই সমাজ মানসকে আলোড়িত করবে এটাই স্বাভাবিক। এমন একজন মুক্তিযোদ্ধার কর্মকান্ডে নিঃসন্দেহে সরকার বাহাদুরের দৃষ্টি পরতে বাধ্য। ইংরেজের নজরে নজরুল ছিলেন রাজদ্রোহী। রাজ বিদ্রোহী নজরুলকে যারপরনাই ব্রিটিশের দমন পীড়নের শিকার হতে বাধ্য। তাই কবি নজরুলের সমান্তরালে বিপ্লবী নজরুলকে জানতে হলে কাজি সাহেবের ইংরেজ জেলের বন্দীজীবন সম্পর্কে জানা আবশ্যক। কবিতার জন্য কারাদণ্ড পেয়েছিলেন একমাত্র যে বাঙালি কবি তিনি কাজি নজরুল ইসলাম। শুরু থেকেই নজরুলের লেখা গান, কবিতা, সম্পাদকীয় রচনা শাসকের কু – নজরে ছিল।
আসলে নজরুলের রচনা তো শুধু মাত্র সুর বা ছন্দে গাঁথা শব্দ নয়, তার কবিতার ছত্রে ছত্রে ঝরে পড়তো অগ্নি স্ফুলিঙ্গ আর সেই আগুনে উত্তপ্ত তখন বাংলার তরুণ প্রজন্ম। নজরুলের ভাষায় ছিল নব যৌবনের উন্মাদনা, ছন্দে ছিল নবযুগের আহ্বান, আর তার কন্ঠের সুরের জাদু নওজোয়ানদের রক্তে দোলা দিত! এই সংবাদ শাসক ইংরেজকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে। বিশ শতকের প্রথম দিক থেকেই নজরুলের গান কবিতা দেশের মানুষকে করে তোলে উত্তাল আর কেড়ে নেয় শাসকের স্বস্তি। মুক্তি পাগল, বাঁধন হারা, বেপরোয়া, নির্ভীক কবিসৈনিক নজরুলের লক্ষ্য তখন দেশের শৃঙ্খল মোচন আর হিন্দু মুসলমান সাম্প্রদায়ের মিলন। “হিন্দু না ওরা মুসলিম? ঐ জিজ্ঞাসে কোন্ জন? কাণ্ডারী! বলো ডুবিছে মানুষ, সন্তান মোর মা’র!” নজরুলের প্রতিবাদ প্রকাশের মাধ্যম ছিল তাঁর কাব্যলক্ষী এবং সঙ্গীত রাগিণী। অদম্য প্রানাবেগ আর অত্যাশ্চর্য সৃষ্টিশীলতা তখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বৃহত্তর বাংলার আকাশ বাতাস। নজরুলের রচনায় মুগ্ধ হয়ে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁকে শান্তিনিকেতন আশ্রমে আহ্বান জানিয়েছেন কিন্তু নজরুল চলেন আপন খেয়াল খুশিতে। বাঁধাধরা রোমান্টিক কাব্য সাধনা তার নয়, তার লেখনী প্রতি মুহূর্তে টক্কর দিচ্ছে শাসক ইংরেজের শাসন দণ্ডের সঙ্গে। বিশ শতকের গোড়ার দিকে গাঁধীজীর অসহযোগ এবং খিলাফত আন্দোলন তখন স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল ধারা কিন্তু দামাল তরুণ কবির এতে আস্থা ছিল না। ব্যক্তিগত ভাবে সেনাবাহিনীতে থাকার কারনে সাম্রাজ্যবাদী ইংরেজের দমন পীড়নের স্বরূপ তিনি জানতেন বলেই নরমপন্থী অসহোযোগ আন্দোলনে তার বিশ্বাস ছিল না। বলা বাহুল্য গান্ধীজির নরমপন্থার বিপরীতে তখন এক সক্রিয় রাজনৈতিক আন্দোলন আত্মপ্রকাশ করেছে। এই সক্রিয়পন্থীরা ছিলেন কমিউনিস্ট আদর্শে অনুপ্রাণিত। নজরুল ইসলামের সঙ্গে এই সময় বিশেষ বন্ধুত্ব হয় বিশিষ্ট মার্কসবাদী মুজাফফর আহমেদ, আবদুল হালিম ইত্যাদি নেতাদের সঙ্গে। কবি গভীর ভাবে একাত্ম হয়ে পরেন মার্কসবাদী সমাজতন্ত্র ও সাম্যবাদী আদর্শের সঙ্গে। এই সময় ই ১৯২২ সালের ১২ই আগস্ট কবি প্রকাশ করলেন তাঁর বিখ্যাত পত্রিকা “ধূমকেতু”। এই পত্রিকা প্রসঙ্গে কবিগুরুর আশীর্বাণী- “আয় চলে আয় রে ধূমকেতু/ আঁধারে বাঁধ অগ্নিসেতু।”- “ধূমকেতু”কে আশ্রয় করেই শুরু হলো ভারতের অন্ধকারাচ্ছন্ন রাজনৈতিক আকাশে নজরুলের এক দুঃসাহসী অভিযান। একই সময় পাশাপাশি ফজলুল হকের “নবযুগ” পত্রিকার সম্পাদক হিসাবে নজরুলের ক্ষুরধার কলমে ব্রিটিশ রাজের বিরুদ্ধে তীব্র কষাঘাত বর্ষিত হতে থাকে। পত্রিকা বাজেয়াপ্ত হওয়ার আশঙ্কায় ফজলুল হক কবিকে কলম সংযত করতে অনুরোধ জানালে ক্ষুন্ন মনে নজরুল নবযুগের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করেন।
নিজের কাগজ “ধূমকেতু”র পাতায় পাতায় ইংরেজের অত্যাচার অবিচার শোষন পীড়নের বিপক্ষে প্রতিবাদ শানিত হতে লাগল। গান্ধীজির আন্দোলনে আস্থা না থাকলেও আন্দোলন কারী দের উপর ব্রিটিশ পুলিশের বর্বর অত্যাচার নজরুল মেনে নিতে পারেন নি, এ প্রসঙ্গে “ধূমকেতু”র পাতায় ছাপা হলো তার বিখ্যাত কবিতা “আনন্দময়ীর আগমনে” – “দেবশিশু দের মারছে চাবুক/ বীর যুবাদের দিচ্ছে ফাঁসী; ভূ ভারত আজ কসাই খানা/ আসবি কবে সর্বনাশী” – কবি রূপকের আড়ালে আহ্বান জানালেন মহাশক্তিকে। এই কবিতা প্রকাশের পরই ইংরেজের পুলিশ অনেক খোঁজাখুঁজি ক’রে কবিকে বাংলাদেশের কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করে কলকাতা সেন্ট্রাল জেলে নিয়ে এল। বিচারে ধূমকেতু’ র পাতায় ব্রিটিশ শাসন উচ্ছেদের জন্য উস্কানি মূলক লেখার অপরাধে প্রেসিডেন্সি ম্যাজিস্ট্রেট মিঃ সুইন সাহেবের অভিযোগের ভিত্তিতে নজরুল কে এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হলো। নজরুল তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগের উত্তরে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে উদ্ধত জবানবন্দি দিলেন- “সত্য স্বয়ং প্রকাশ পায়। তাকে কোনো রক্ত আঁখি, রাজদণ্ড রোধ করতে পারে না! আমি সেই চিরন্তন স্বয়ং প্রকাশের বীণা। যে বীণায় চির সত্যের বাণী ধ্বনিত হয়েছিল। আমি ভগবানের হাতের বীণা।”- এই ঐতিহাসিক জবানবন্দি নজরুল ইসলামের স্বদেশপ্রেমের এক অভিনব দলিল হিসেবে স্বীকৃত।
শুরু হলো কবির বন্দী জীবন। নিষ্ঠুর ইংরেজের কাছে শিল্পী বা শিল্পের কোনো মূল্য ছিল না। সরকার নজরুল কে রাজবন্দির সম্মান টুকুও দেয়নি।একজন অতি সাধারণ বন্দির সমমানের পোষাক, থাকার জায়গা এবং অত্যন্ত নিম্নমানের খাদ্য জুটল কবির কপালে, আর তার সঙ্গে অমানুষিক নির্যাতন। তবুও প্রাণ প্রাচুর্যে অদম্য চিরচঞ্চল কবিকে দমন করা সম্ভব হলো না। নির্দয় ব্রিটিশের এহেন আচরণে ব্যথিত রবীন্দ্রনাথ তার “বসন্ত” গীতিনাট্য টি নজরুল ইসলামের নামে উৎসর্গ ক’রে অনুজ কবিকে একটি পত্র লেখেন। ইংরেজ জেলারের নজর এড়িয়ে সেই চিঠি নজরুলকে পৌঁছে দিলেন কবিবন্ধু পবিত্র গঙ্গোপাধ্যায়। অগ্রজ কবির আশীর্বাদ লাভ করে কারাবন্দি অনুজ কবির উৎসাহ উদ্দীপনা দ্বিগুন বেড়ে গেল। নজরুলের সাহচর্যে অন্যান্য বন্দিরা ও প্রাণ ফিরে পেলেন। এদিকে আলিপুর জেলের সমস্ত বন্দিরা নজরুলের গানে কবিতায় মাতোয়ারা হয়ে স্বদেশমন্ত্রে দীক্ষিত হচ্ছে এই আশঙ্কায় চার মাস পরই ১৫ই এপ্রিল হঠাৎ করে কবিকে আলিপুর থেকে হুগলি জেলে স্থানন্তরিত করা হলো। কিন্তু কিছুতেই কিছু করা গেল না। এমন যার মনন, চেতন, যার কলমের এত স্পর্ধা তাকে স্তব্ধ করা বর্বর ইংরেজের কর্ম নয়। বরং জেল পরিবর্তন করায় আলিপুর থেকে হুগলির ঘরে ঘরে নজরুল বিপ্লবের আগুন ছড়িয়ে পড়লো! আলিপুর জেলে বসে লেখা গান কবিতার ভাণ্ডার কবি হুগলির কয়েদি দের কাছে উজাড় করে দিলেন। “দে গরুর গা ধুইয়ে” – বলে হায়দারি হাঁক দিলেন সেখানকার বন্দি বন্ধুদের। হুগলির জেল সুপার ছিলেন দোর্দণ্ড প্রতাপ মিঃ সামচিন। তার বাজখাই কর্কশ গলার জন্য নজরুল তার নাম দিলেন হার্সটোন সাহেব। এই সুপার কে উদ্দেশ্য ক’রে ‘সুইপার বন্দনা’ নাম দিয়ে রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্যারোডি করে লিখলেন- তোমারি জেলে /পালিছো ঠেলে/ তুমি ধন্য ধন্য হে- বলা বাহুল্য এই গানের ব্যঙ্গ বিদ্রূপ শ্লেষ সুপার কে খেপিয়ে তুললেও ব্যঙ্গ কোনো আইনি আওতায় পরে না তাই সুপার কিছু করতে পারলেন না! হুগলি জেলে বসেই তিনি লিখলেন – “কারার ওই লৌহকপাট/ ভেঙে ফেল কর্ রে লোপাট/ রক্ত জমাট শিকল পূজার পাষাণবেদী!” ইংরেজ অফিসাররা বন্দি পরিদর্শনে এলেই কয়েদিরা সমবেত সোচ্চার কন্ঠে এই গান গাইতে থাকে। ক্রমশঃ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে বুঝে শুরু হলো কবির উপর অকথ্য অত্যাচার। একটি ছয় ফুট/চার ফুট আলো বাতাস হীন ঘুপচি ঘরে কবিকে আটক করে রাখা হলো। কিন্তু তার গান থামানো গেল না। তিনি হাতকড়া লাগানো অবস্থাতেই গেয়ে উঠতেন- “শিকল পরা ছল মোদের এ শিকল পরা ছল/ শিকল পরেই শিকল তোদের করবো রে বিকল।” – গান কবিতা দিয়ে যে বিদ্রোহ শুরু হয়েছিল অচিরেই তা প্রত্যক্ষ প্রতিবাদে পরিণত হয়।
জেলে ভারতীয় কয়েদিদের সরকার-সেলাম নামে এক নিষ্ঠুর অপমানকর নিয়ম চালু হয় এর দ্বারা সুপার জেলে প্রবেশ করা মাত্র সরকার সেলামের হুকুম হাঁকানো হতো, অমনি নজরুলের নেতৃত্বে কয়েদিরা পা সামনে ছুঁড়ে লাথি মারার ভঙ্গি করে ব্রীটিশি সাম্রাজ্যবাদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করলেই শুরু হতো পুলিশ- কয়েদি হাতাহাতি। এই ভাবে ইংরেজের অত্যাচার চরমে উঠলে কবি তাঁর সহযোদ্ধা দের নিয়ে শুরু করলেন অনশন। একে জেলের নিপীড়ন তার উপর অনশনে কবির প্রাণহানির আশঙ্কায় উৎকন্ঠিত কবি বন্ধুরা এবং নজরুল যাঁকে মা বলতেন সেই বিরজা সুন্দরী দেবী কবি কে অনশন তুলতে অনুরোধ করেন। বিশ্বকবি আকুল হয়ে নজরুলকে একটি তার বার্তায় লেখেন- “অনশন প্রত্যাহার করো আমাদের সাহিত্য তোমাকে দাবি করে”- Give up Hunger strike. Our Litareture claims You.- কিন্তু সেই টেলিগ্রাফ নজরুলের হাতে এসে পৌঁছায় না! অবশেষে সরকারের দমন নীতি লঘু করার প্রতিশ্রুতি, কবিগুরুর এবং নজরুল সতীর্থ দের অনুরোধে কবি বিরজাদেবীর হাতে ফলের রস খেয়ে অনশন ভঙ্গ করেন। এবার কবি কে চালান দেওয়া হলো বহরমপুর জেলে। এখানে তাকে বিশেষ কয়েদির সম্মান দেওয়ার নির্দেশ থাকলেও তা দেওয়া হয় না। তবে এই জেলের সুপার বসন্ত ভৌমিক একজন বাঙালি এবং নজরুলের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন। তিনি জেলে কবিকে একটি হারমোনিয়ামের ব্যবস্থা করে দিলে কবি তাঁর সহ কয়েদি দের নিয়ে মেতে উঠলেন গানে। বহরমপুর জেলে কবির সঙ্গে ছিলেন পূর্ণ দাস, বিজয়লাল চট্টোপাধ্যায়, নরেন্দ্র নারায়ন চক্রবর্তী প্রমুখ স্বাধীনতা সংগ্রামী। বহরমপুর থেকেই নজরুলের কারাদণ্ডের একবছর মেয়াদ সম্পূর্ণ হয়ে কারা মুক্তি হয়! জেল থেকে বেরিয়েই কবি ঝাঁপিয়ে পড়লেন সক্রিয় স্বাধীনতা আন্দোলনে। নজরুলের কবি খ্যাতি তখন তুঙ্গে। বাংলা মায়ের দামাল ছেলে নজরুল তখন তরুন দলের প্রাণ পুরুষ। সেই সময়ে সারা দেশের মানুষের কাছে নব বিপ্লবী আদর্শের নাম- কাজি নজরুল ইসলাম!
এমন চিরবিপ্লবী বিদ্রোহী কবি কলমেই শোভা পায়- “আমি বেদুঈন আমি চেঙ্গিস/ আমি আপনারে ছাড়া করিনে কাহারে কুর্নিশ।” এই নজরুল কন্ঠে মুখরিত হয়ে ওঠে- “আমি বিদ্রোহী রণক্লান্ত/ আমি সেইদিন হব শান্ত/ যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না! …. আমি চির বিদ্রোহী বীর;/ আমি বিশ্ব ছাড়ায়ে উঠিয়াছি একা/ চির উন্নত শির!!”