কলমের খোঁচা

বিপ্লবী ভগৎ সিং ও আজকের যুব সমাজ


মিতা দত্ত: চিন্তন নিউজ:১২৮শে সেপ্টেম্বর:- বিপ্লব মানে রক্তক্ষয়ী হানাহানি নয়।বিপ্লবের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কোনো প্রতিশোধ বা প্রতিহিংসা মেটাবারও সম্পর্ক নেই। বিপ্লবের অর্থে বোমা বা পিস্তলের চর্চাও বোঝায় না।বিপ্লব বর্তমান সমাজব্যবস্থা যা কিনা জ্বলন্তরূপে অন্যায়ের কাঠামোর ওপর দাঁড়িয়ে আছে,সেই ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন – ভগৎ সিং।

একজন দার্শনিক চিন্তাবিদ, বুদ্ধিজীবী ও স্বদেশপ্রেমে স্নাত একজন আগুনখেকো বিপ্লবী ছিলেন ভগৎ সিং। তাই তো ফাঁসিতে ঝুলবার আগে পর্যন্ত ভগৎ সিং পড়ছিলেন “লেনিনের জীবনী”। এইসময় জেলের অফিসারের ডাক এল,”সর্দারজী,ফাঁসি লাগানো কা হকম আ গয়া হ্যায়। আপ তৈয়ার হো যাইয়ে। ” ভগৎ সিং এর ডান হাতে বইটা ছিল। বাঁ- হাত দিয়ে তাকে থামিয়ে বললেন, ” দাঁড়ান, একজন বিপ্লবীর সাথে আর একজন বিপ্লবীর সাক্ষাৎকার চলছে।”
থমকে দাঁড়ালেন অফিসার। কিছুটা পড়ার পর বইটা রেখে তেজদীপ্ত ভঙ্গিতে খাড়া হয়ে দাঁড়ালেন। বললেন, চলুন –

কিশোর বয়সে তাঁর মধ্যে বিপ্লবের বীজ রোপিত হয়েছিল। আমরা সকলেই জানি জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ডের পর তাঁর সেই অমর কাহিনী যা আমাদের শিহরিত করে।পাঞ্জাবের লায়ালপুর জেলায় বাংগা গ্রামে ভগৎ সিং এর জন্ম হয় ১৯০৭ সালে আজকের দিনে। তাঁর বাবা কিষেণ সিং ও মা বিদ্যাবতী দেবী, যে মা তাঁর সন্তানদের উৎসর্গ করেছিলেন দেশমাতাকে।

ইনকিলাব জিন্দাবাদ ধ্বনিতে আকাশ বাতাস উত্তাল করে মানুষের মনোভূমিকে তৈরীর কাজ তিনিই করেছিলেন। তিনি শুধু একটি সমাজতান্ত্রিক দল গড়ে তুলতে চাননি, এই দলটিকে গণভিত্তিক কোরতে চেয়েছিলেন। তাঁর মতে শ্রমিক, কৃষক, ছাত্র ও অন্যান্য বৈপ্লবিক শ্রেণীর সহযোগিতায় এই গণভিত্তিক দল গড়ে তুলতে হবে যুব সম্প্রদায়ের। গড়ে তুলতে হবে সমাজতন্ত্র।

আজকের যুবসম্প্রদায় ভগৎ সিং এর কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হয়।বামপন্থী যুবসমাজকে আমরা দেখতে পাচ্ছি বিভিন্নভাবে গণভিত্তিক দল গড়ে তুলছে ও শোষিত নীপিড়িত মানুষকে নিয়েই যেন নিরন্তর পথচলা। এই পথচলার মধ্য দিয়ে ভগৎসিং বেঁচে থাকবে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।