দেশ

অদম্য জেদ আর লড়াই : সাফল্য এল ১৭ বছর পর


মৌসুমী চক্রবর্তী, চিন্তন নিউজ, ২৬ এপ্রিল: অসমসাহসী লড়াইয়ে সতেরো বছর ধরে বিলকিস বানোর সাথে ছিলেন তাঁর স্বামী ইয়াকুব। উল্লেখ্য ২০০২ সালে বিলকিস যখন তাঁর পরিবারের সঙ্গে গ্রাম ছেড়ে পালাচ্ছিলেন, পথে তাঁদের সংঘ পরিবারের দুষ্কৃতবাহিনী পথ আটকায় এবং চোখের সামনে নৃশংস ভাবে খুন করা হয় তাঁর ছোট্ট ফুটফুটে মেয়েকে এবং পরিবারের সদস্যদের খুনের সাক্ষী হতে হয় এবং নিজে গণধর্ষণের শিকার হন। এই প্রতিবেদন লেখার আটচল্লিশ ঘন্টা আগে ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার শিকার বিলকিস বানোকে পঞ্চাশ লক্ষ টাকা ক্ষতি পূরণ, সরকারি চাকরি এবং একটি বাসস্থান দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন শীর্ষ আদালত। লড়াইয়ে হার না মানার জেদের ফলেই এই জয় সম্ভব হয়েছে। রায় জানার পরে বিলকিস বানোর প্রতিক্রিয়া “আমি প্রতিহিংসা চাই নি। আদালতের কাছে শুধুমাত্র ন্যয় বিচার চেয়েছিলাম। সংবিধান ও নাগরিক হিসেবে আমার অধিকারের উপর ভরসা রেখেছিলাম। সর্বোপরি সুপ্রিম কোর্ট আমার পাশে দাঁড়িয়েছিলো। যা চেয়েছিলাম অবশেষে তা আমি পেয়েছি।” তিনি জানিয়েছেন ক্ষতিপুরণের একটা অংশ তিনি দাঙ্গা-পীড়িতদের কল্যাণে এবং ঘৃণার রাজনীতি ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্তদের সন্তানদের পড়াশোনার জন্য ব্যয় করতে চান। জানিয়েছেন তাদের মধ্যেই বেঁচে থাকবে আমার মেয়ে সালেহা। এই কথাগুলো বলার সময় তাঁর স্বামী ইয়াকুব পাশেই ছিলেন। প্রসঙ্গত চরম ঘটনা ঘটার সময় তাঁর বয়স ছিল বিশের কোঠায় এখন চল্লিশের কোঠায়।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।