সলিল ঘোষাল, নিজস্ব প্রতিবেদন:চিন্তন নিউজ: ০৯/০২/২০২৪:- -পশ্চিমবঙ্গ সরকার আগামী এক বছরের জন্য রাজ্য বাজেট পেশ করলো !! এটা প্রকৃত অর্থে বাজেট না নির্বাচনী ইশতেহার তা বোঝা সত্যিই বড় কঠিন !! এটাকে সম্পুর্ন এক অবৈজ্ঞানিক -অসংগতি পুর্ন বললেও সম্ভবত কম বলা হবে। তার কারন, আগামী অর্থনৈতিক বছরে কোন খাতে কতো বরাদ্দ এবং তার আয়ের উৎস ই বা কি–সে কথার কোনো পরিস্কার ইঙ্গিত নেই !! এই বাজেট আদৌ জনমুখী তো নয় ই, বরং ভাতা, অনুদান মুলক একটা খসড়া যেটা কিনা সাধারণ মানুষের কাছে অসম্মান জনক। বাজেটে মুখ্যমন্ত্রী পাঁচ লক্ষ বেকারের চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, কিন্তু সেই মোতাবেক বরাদ্দ শুন্য !! সারা বছরে পঞ্চাশ দিনের কাজের প্রতিশ্রুতি দিলেন, অথচ সেই খাতে বরাদ্দ শুন্য !! বকেয়া মহার্ঘ ভাতা র কথাও শোনালেন, কিন্তু সেই খাতেও বরাদ্দ শুন্য !! সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বিষয় হ’ল এটাই যে-রাজ্য সরকার এই বাজেটে যেভাবে ঋণের উপর জোর দিয়েছে তাতে করে আগামী দিনে রাজ্যবাসীর মাথার উপর ঋনের পরিমাণ গিয়ে দাঁড়াবে প্রায় সাত লক্ষ কোটি টাকা। ২০১১ সালে এই ঋনের পরিমাণ ছিল প্রায় দুই লক্ষ কোটি টাকা।সামনেই লোকসভা নির্বাচন–সেই নির্বাচন কে মাথায় রেখেই লক্ষীর ভান্ডারের মতো কয়েকটি সম্পুর্ন অস্থায়ী প্রকল্পে সামান্য বরাদ্দ বাড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী ভোট কুড়ানোর অন্ধ খেলায় মেতেছেন। আমরা মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে স্থায়ী কর্ম সংস্থানের কথা বলছি। আমরা কৃষকের ফসল কে সরকারের তরফ থেকে ক্রয় করার বলছি। আমরা বিদ্যা শিক্ষার হার বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে আরো অনেক নতুন বিদ্যালয় স্থাপনের কথা বলছি। আমরা গরীব প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্য পরিসেবার মানোন্নয়নের জন্য স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর আমূল পরিবর্তনের কথা বলছি। দূর্ভাগ্য এই যে রাজ্য বাজেটে এসবের কোনো ইঙ্গিত ই নেই। এক কথায় এটা একটা নির্বাচনমুখী–মিথ্যা প্রতিশ্রুতিমুলক মনোরঞ্জনী বাজেট। এই বাজেট রাজ্যবাসীর কাছে নিরাশাব্যাঞ্জক–আর এটাই স্বাভাবিক, তার কারন নীতিহীন আদর্শহীন একটা দল, যে কোনো উপায়ে ক্ষমতায় টিকে থাকাটাই যাদের একমাত্র লক্ষ্য, তারা কখনোই সাধারণ মানুষের স্বার্থ সম্বলিত কোনো বাজেট উপহার দিতে পারে না। এই জনস্বার্থ বিরোধী রাজ্য বাজেটের বিরুদ্ধে তীব্র গন-আন্দোলন গড়ে তোলাটাই জরুরি।
![](https://chintannews.com/wp-content/uploads/2024/02/IMG_20240209_170804.jpg)