সূপর্ণা রায়:চিন্তন নিউজ:১২ইঅক্টোবর:–মাদুর বুনে বেঁচে থাকার পথ খুঁজছে সবংংয়ের কয়েক শো পরিবার মাদুর শিল্পে থাবা বসিয়েছে কর্পোরেট । আধুনিক যন্ত্র আর প্লাস্টিকের সুক্ষ বুননে আর পেরে উঠছে না সাবেক আমলের মাদুর। সবংয়ের মাদুর শিল্পীরা চরম অর্থনৈতিক সঙ্কটের মুখে পড়েছে ।। বিভিন্ন কারুকাজ করে একটা মাদুর বুনতে ২০২৫ দিন লেগে যায় কিন্তু সময় লাগলেও সে মাদুর হয় দেখার মতো।। যাতা টেনে আর ঠেলে তাদের , হাতের নিখুঁত কাজে নানা রকম নাম করা ব্যাক্তি _ মনীষীদের জীবনী ফুটিয়ে তোলা ,হয়।। ফলে এগুলোর দাম একটু বেশী হয়।। কিন্তু দাম বেশি দেবে কে?? শিল্পের মুল্য কতজনই বা বোঝে? মানুষ এখন চটযলদি জিনিস চাই। তাই মেশিনে বোনা মাদুর যা প্লাস্টিকের কাঠি দিয়ে তৈরি মাদুর মাত্র কয়েক ঘণ্টা যে তৈরি হয়ে যায় এখন সেটাই দারুন জনপ্রিয়।। ফলে যুগের পর যুগ ধরে চলে আসা , হাতে তৈরি মাদুর শিল্পীরা সারাদিন পরিশ্রম করে ও সংসার চালানো দূ্র্বিষহ , হয়ে উঠছে।সবং বাজার থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরে রুইনান এখানে মাদুর শিল্পের প্রশিক্ষণ কর্মশালা গঠন এর জন্য ২০০৯ সালে জমি অধিগ্রহণ করা হয় কিন্তু সে জমি অব্যবহৃত পড়ে আছে প্রায় দেড়শ একর জমি।। আগাছাতে পূর্ন ।।
সাংসদ গুরুদাস দাশগুপ্ত তাঁর তহবিল সহ কেন্দ্রীয় শিল্প তহবিল থেকে ৫৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়।। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।। ফাইল চাপা পড়ে রয়েছে আর এনিয়ে মানুষের ক্ষোভের শেষ নেই।। মাদুর কাঠি চাষ হয় সবং এ আর তা হয় বন্যার কারণে।। বন্যার জলে মাদুর কাঠি নষ্ট হয়না আজ ও মানুষ এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত থেকে রুটি রুজির ব্যবস্থা করছে। এখানকার মহিলারাও এই মাদুর শিল্পের সাথে যুক্ত।। নিজেরাই সুতলী তৈরি করে ।। পুরুষের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এক এক জন দক্ষ শ্রমিক হয়ে উঠছে।। ছোট বাচ্চারাও এই মাদুর বোনার কাজে সাহায্য করে। এত পরিশ্রম তবু এই কাজে দাম পাওয়া যায় না।।পাইকাররা যে দাম দেয় সেই দাম নিতে হয় বাধ্য হয়।। সেই টাকা দিয়ে সংসার চালানো খুব কষ্টকর ।। একটু বেশী আয় এর জন্য তারা ব্যাগ, টুপি,সতরঞ্চী তৈরি করা হয়।। কিন্তু তাতেও দাম পাওয়া যায় না।। হতাশা গ্রাস করছে এই মানুষ গুলোকে।।।।।_