দেশ

রেল বেসরকারী করনের সঙ্গে সঙ্গে রেলের জমিও নিলামে তুলছে কেন্দ্র।।


চৈতালী নন্দী:চিন্তন নিউজ:১২ই অক্টোবর:– দেশের অর্থনীতির অবস্থা ভয়াবহ।আর্থিক বৃদ্ধি কমে তলানিতে।কমেছে মানুষের আয়।কর্পোরেট হাউসগুলোকে সুবিধা করে দিতে বারে বারে চলছে ভর্তুকি ও ব‍্যাঙ্ক আমানতে সুদ ছাঁটাই।কর্মসংস্থানের কোনো দিশা দেখাতে ব‍্যর্থ সরকার।বর্তমানে দেশের কেন্দ্রীয় সরকার একের পর এক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলো বেসরকারী করনে ব‍্যস্ত।আস্তে আস্তে লাভজনক সংস্থা গুলিকেও অলাভজনক দেখিয়ে বেসরকারীকরন করা চলেছে প্রতিদিন।


ইতিমধ্যেই বেসরকারী হাতে যাচ্ছে ৫০ টি স্টেশন ও ১৫০টি ট্রেন।এই বেসরকারিকরন চলবে ধাপে ধাপে।এর জন‍্যে আনা হচ্ছে বিল।এই বেসরকারিকরনের ফলে বাড়বে যাত্রীভাড়া,বাড়বে কর্মী ছাঁটাইয়ের আশঙ্কাও।সরকার এই সব অস্বীকার করতে চাইলেও নীতিআয়োগের চিঠিতে স্পষ্ট  সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে রেলমন্ত্রকের।


এরই মধ‍্যে আয় বাড়াতে রেলের জমি নিলামের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল ডেভেলপমেন্ট অথরিটি।অব‍্যবহৃত রেলের জমি এবার চলে যাবে আবাসন ব‍্যাবসায়ীদের হাতে।প্রাথমিক ভাবে দিল্লী ,কানপুর সহ বিভিন্ন জোনের জমি  অব‍্যবহৃত জমি বিক্রি হবে চড়া দামে।প্রচার করা হচ্ছে মধ‍্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত দের সাধ‍্যের মধ‍্যে বাসস্থান করে দেওয়াই এর লক্ষ‍্য।প্রকৃতপক্ষে দেশের রাজস্ব ঘাটতি মেটানোর লক্ষ‍্যেই এই সিদ্ধান্ত।


প্রথম ধাপে দিল্লির অশোক বিহারে ১০.৭৬ হেক্টর,করোলবাগ মেট্রো এলাকায় ১৫.২ হেক্টর ও কানপুরে১.৪৮ হেক্টর জমি বিক্রি করে ন‍্যুনতম ১২৮০,১৮৬২,৬২ কোটি টাকার লক্ষ‍্যমাত্রা ধার্যকরা হয়েছে।ইতিমধ্যে দরপত্র আহ্বান করা হয়েগেছে।শুধুমাত্র সরকারি কর্মচারী রা নয় আমজনতাও ঐ আবাসন পেতে পারবেন।
তবে  জিএসটি, ও নোটবাতিলের পর বর্তমানে আবাসন শিল্পের অবস্থা শোচনীয়।সেই কারনে বড় শহরগুলির প্রানকেন্দ্রে অবস্থিত রেলের জমি নেওয়া হবে।যাতে আবাসন গুলি বিক্রিতে অসুবিধা না হয়।শিল্প গড়তে বড় আকারের জমির প্রয়োজন পড়ে।


এইভাবে রেলের সব জমি বিক্রি করে দিলে ভবিষ্যতে তা শিল্প গড়ার ক্ষেত্রে বাধা না হয়ে দাঁড়ায়।তাছাড়াও রাজস্ব বাড়াতে এইভাবে রেলের জমিবিক্রী  করে দেশের অর্থনীতি কে সামাল দেওয়া যায়না।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।