নিউজ ডেস্ক: চিন্তন নিউজ:২৯শে নভেম্বর:–নভেম্বর মাসের ১৫তারিখ থেকে ৩৭জন পার্শ্বশিক্ষক অনশনে বসেছেন। ইতিমধ্যে অনেকেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে। রাজ্যসরকারের কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। পাশে দাঁড়িয়ে পার্শ্বশিক্ষকদের এই আন্দোলনকে সমর্থন করেছে। বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবী জানিয়েছেন পার্শ্বশিক্ষকরা যে সামান্য বেতন পান,তাতে এই দূর্মূল্যের বাজারে জীবন নির্বাহ করা খুব কঠিন।তাই সরকার যেন তাঁদের দাবি মেনে এই অনশন আন্দোলনের নিষ্পত্তি করেন।
আজ বুদ্ধিজীবী ও মানবাধিকার কমিশনের ৩০জন মুখ্যমন্ত্রীকে একটি খোলা চিঠি দেন, এই চিঠিতে দাবি জানানো হয়েছে পার্শ্বশিক্ষকদের আন্দোলনের সদর্থক ইতি টানতে সরকারের হস্তক্ষেপ চায়।এবং অবিলম্বে এই অচলাবস্থা কাটানোর ব্যবস্থা করুন সরকার।বিদ্বজনদের পক্ষে আছেন মাননীয়া মিরাতুন নাহার, সমাজকর্মী সুজাত ভদ্র ।
পার্শ্বশিক্ষক আন্দোলনের ,সংগঠন প্যারাটিচার ঐক্য মঞ্চের কনভেনর ভগীরথ ঘোষ জানিয়েছেন অনশনরত প্যারাটিচারদের পক্ষ থেকে দাবী সম্বলিত চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর অফিসে পাঠানো হয়েছে।কিন্তু সিএমও থেকে কোনো রিসিপ্ট কপি আসেনি। ভগীরথ বাবু আরও জানান, পার্শ্বশিক্ষকরা দাবী জানিয়েছেন তাঁদের মাসিক বেতন যেন গ্রুপ- ডি কর্মীদের স্কেলের থেকে বেশী হয়। এবং তাঁদের প্যারাটিচার এর পরিবর্তে এলিমেন্টারি টিচারের আখ্যা দেওয়া হয়।
শিক্ষামন্ত্রী স্বভাবতই দায় ঝেড়ে ফেলেছেন, এবং বিগত বাম সরকারের ওপর প্যারাটিচারদের বেতন কমের দায় চাপিয়েছেন। এদিকে কেন্দ্র সরকার পার্শ্বশিক্ষক ইস্যুতে রাজ্যসরকারকে দোষারোপ করেছেন। কেন্দ্রসরকারের বক্তব্য কেন্দ্র টাকা পাঠাচ্ছে, কিন্তু রাজ্য তা দিচ্ছে না পার্শ্বশিক্ষকদের। পরস্পর দোষারোপে নাজেহাল অনশনরত পার্শ্বশিক্ষকরা। এর নিষ্পত্তি কোথায়? এ ব্যাপারে দ্রুত রাজ্যসরকারের হস্তক্ষেপ করা উচিৎ বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ থেকে বিশিষ্ট জনেদের।