লাল্টু ঘোষ:চিন্তন নিউজ:২৯শে মে:- লকডাউনের চতুর্থ দফার শেষ মূহুর্তে মাননীয়ার মনে হয়েছে করোনা খুব তুচ্ছ ব্যাপার, পাশবালিশের মত জড়িয়ে ধরে আদর করলেই ভালোবেসে দূরে সরে যাবে। অথচ তাঁর নিজের বাড়ির এলাকা কনটেনমেন্ট জোন, একাধিক বিধায়ক আক্রান্ত।
বাসে ট্রেনে ফেরার পথে একাধিক পরিযায়ী শ্রমিক মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন খাদ্য, পানীয় জল, সামান্যতম চাকিৎসার অভাবে। ২৪ ঘন্টার ট্রেনের যাত্রাপথ রেলদপ্তরের চূড়ান্ত অপদার্থতায় ৫৬ ঘন্টার অবর্ণনীয় কষ্টকর যাত্রায় পরিণত হচ্ছে। পরিযায়ীদের বাড়ি ফেরার পর কোয়েরেন্টাইনে রাখা, খাওয়া দাওয়া নিয়ে, কোভিড টেস্ট নিয়ে ন্যুনতম পরিকল্পনা নেই রাজ্যের অমানবিক সরকার ও তার নেত্রীর।
যে কোনো দুরবস্থা, প্রয়োজনে দীর্ঘদিন শাসন ক্ষমতায় না থেকেও ক্লান্তিহীনভাবে প্রান্তিক মানুষের জন্য নিঃশব্দে কাজ করে চলেছে বামপন্থী দল এবং গণসংগঠনগুলো। ডি ওয়াই এফ আই রামরাজাতলা ৩ ইউনিটের উদ্যোগে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ ও সিটুর সহায়তায় শুরু হয়েছে সংহতি রান্নাঘর। আজ পঞ্চম দিনে সাড়ে ছশো মানুষের দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। আগামী দিনে সংখ্যাটা আরও বাড়বে এবং স্থানীয় মানুষের সহায়তায় যে কোনো অসুবিধা দূর করে এগিয়ে যেতে অঙ্গীকারবদ্ধ কমরেডরা।
অভিজিৎ মিত্র মেমোরিয়াল চ্যারিটেবল সোসাইটি সংহতি রান্নাঘরের স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য মাস্ক, হাতের গ্লাভস ও ডিসপোজেবল ক্যাপ দিয়ে উৎসাহিত করে।