রাজ্য

বাংলার লজ্জা। বাঙালির লজ্জা।


শাশ্বতী ঘোষাল :চিন্তন নিউজ ১২ ই অক্টোবর:– কিছুদিন আগেই কোলকাতার বিদ্যাসাগর কলেজে কে বা কারা বিদ্যাসাগর মূর্তি ভাঙচুর করে রেখে যায়। এ লজ্জা বাঙালির এখনো ঘোচে নি। আবার গত বৃহস্পতিবার রাতে (10.10.19)বরানগরে বাঘাযতীন রোডে বীর বিপ্লবী শহীদ যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের মূর্তিটি এক বা একাধিক লোক ভেঙে দিয়ে গেছে। এই কলঙ্ক বাঙালি জীবনের আর এক লজ্জাজনক অধ্যায় । ভেঙে চুরে যাওয়া মূর্তিটি দেখে মনে হচ্ছে ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। এই নরাধম গুলি কারা? এরা কি এই দেশের ইতিহাস জানে না? দেশ তথা জাতির প্রতি সামান্যতম দায়বদ্ধতাও কি এদের নেই? প্রশ্ন উঠছে, সবার মনে।

ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে যে ক’জন বাঙালির নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখিত আছে যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় ওরফে বাঘাযতীন তাঁদের মধ্যে অন্যতম। বুড়ি বালামের তীরে ইংরেজদের বিরুদ্ধে তাঁর বীরত্ব ব্যঞ্জক সংগ্রামের কথা কে না জানে? বাংলা ও বাঙালির গর্ব তিনি। সমগ্র ভারতের গর্ব তিনি। ঐ অপগণ্ডদের কি এর কিছুই জানা নেই? এক শ্রেণীর উশৃশ্ঙ্খল, অপশিক্ষিত মানুষ বাঙালির গর্বোন্নত শির কি কেবলই ধূলায় লুন্ঠিত করার চেষ্টা চালিয়েই যাবে?

এই ঘটনায় তৃণমুলের অভিযোগ বিজেপির সমর্থকরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় এ কাজ করেছে। বিজেপির দিক থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায় নি। যে-ই করুক এই শয়তানদের কঠোর শাস্তি চাই। বাঙালির আজ ঘোর দুর্দিন। এ কোথায় যাচ্ছে বাংলা? বাঙালি জাতির জীবনে এ এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। এ লজ্জা এ কলঙ্ক সমগ্র বাঙালি জাতির এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। এই ন্যক্কারজনক কাজের দায়ভার সরকারেরই । একের পর এক মনীষী মুর্তি ভাঙায় হাত যে দলেরই থাক না কেন, অপশাসনের দৈন্যতার প্রকাশ।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।