দেশ

জেএন‌ইউতে এসএফআই ছাত্রের ওপর এবিভিপির হামলা।


নিউজ ডেস্ক:চিন্তন নিউজ:৬ই সেপ্টেম্বর:–আজ শুক্রবার ৬ সেপ্টেম্বর জেএনইউ’র ছাত্রসংসদের ভোট। নির্বাচনের আগে সভাপতিপদের বিতর্ক ঐতিহ্যশালী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির প্রচলিত রীতি। বুধবার বিতর্ক হয় জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল, পিটিয়ে মারা, এনআরসি, আমাজনে দাবানল প্রভৃতি বিষয় নিয়ে। এবারে ছাত্র ভোটে সভাপতি পদে ভারতের ছাত্র ফেডারেশন (এসএফআই) এবং সাধারণ সম্পাদক পদে অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (এআইএসএ) প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ছাত্রসংসদ সভাপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জে এন ইউ তে এবিভিপির নৃশংস আক্রমন এস এফ আই ছাত্রকে।
বিতর্কসভায় এসএফআই নেতার ওপরে ভয়াবহ হামলা চালালো এবিভিপি সদস্যরা।বুধবার রাতে ক্যাম্পাসে হামলার বিরোধিতা করে এসএফআই’র পক্ষ থেকে বিবৃতি দেওয়া হয়। বিবৃতিতে বলা হয়েছে জাতীয়তাবাদের আড়ালে সংখ্যালঘু, দলিত, অনগ্রসর ও প্রগতিশীল স্বরের সম্পর্কে এবিভিপি’র ঘৃণা বিষয়ে সবাই জানেন। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে জেএনইউ ছাত্রসংসদের প্রাক্তন সভাপতি গীতা কুমারি অভিযোগ করেন বুধবার রাতে ক্যাম্পাসের গঙ্গা ধাবায় সভাপতিপদের বিতর্ক হয়। ‘‘বিতর্ক চলার সময় এবিভিপি’র দুষ্কৃতীরা জেএনইউ’র এসএফআই’র নেতা ভেঙ্কাটেশকে মাথায় আঘাত করে। এদেরই হামলায় জেএনইউ’র এসএফআই শাখার সহ সভাপতি ভেঙ্কাটেশ পাসাগোল্লা মারাত্মক আহত। ছাত্রনেতাকে মাথায় ধারালো কোনও ধাতব অস্ত্র দিয়ে মারা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে এইমসের ট্রমা কোয়ার সেন্টারে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত রাখা হয়। ভেঙ্কাটেশের মাথায় অনেকগুলি সেলাই পড়েছে। ব্রাহ্মণবাদী শক্তির বিরুদ্ধে গিয়ে বামপন্থী অবস্থানে দৃঢ় থাকার জন্যই ছাত্রনেতার ওপরে আক্রমণ হয়।

সম্প্রতি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্টার সাঁটানোর সময় এসএফআই দিল্লি রাজ্য কমিটি সহ সভাপতি সুমিত কাটারিয়া এবং হিমাংশু সবিতার ওপরে এবিভিপি’র দুষ্কৃতীরা লোহার রড ও অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। পাশাপাশি আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘‘রাম কে নাম’’ তথ্যচিত্রটি দেখানোর সময়েও এবিভিপি’র কর্মীরা হিংসা ছড়ায়। জেএনইউ’তে এবিভিপি’র হামলার নিন্দা করেছে এসএফআই। ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি রক্ষার দাবি করা হয়েছে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।