নিউজ ডেস্ক:চিন্তন নিঊজ :২৭শে জুলাই:–
২৬শে জুলাই ডিএ নিয়ে স্যাট (SAT)এর রায় রাজ্যসরকারকে ধাক্কা দিল। আবারও একবার হার হ’ল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দিতে রাজ্যসরকার বাধ্য –স্যাটের রায়।রায় ঘোষণা করেন আর কে দাস ও সুরেশ বাগ।
রাজ্যসরকারকে কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মেটানোর নির্দেশ দেন স্যাট। কিভাবে মেটাবেন তা রাজ্যসরকার ঠিক করবেন। হয় মুল বেতনের সঙ্গে দেবেন।না হয় পিএফেও জমা দিতে পারেন।তবে বকেয়া মেটাতে হবে একবছরের মধ্যে।ষষ্ঠ পে-কমিশন লাগু হওয়ার আগে।মূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে সাযুজ্য রেখে ডিএ দিতে হয়।অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স অনুযায়ী ডিএ স্থীর হয়। যদিও রাজ্যের রোপা আইন আছে। তবুও ডিএ নির্ধারণ করে অল ইন্ডিয়া প্রাইস ইনডেক্স।এ রাজ্যে ২০০১ থেকে ২০১১ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকার রোপা আইনে ডিএ প্রদান করে এসেছেন।কিন্তু ২০১১সালের পর থেকে কোন আইনই মানেন নি সরকার।কোনো হার না মেনে খেয়াল খুশি মতো সরকারি কর্মচারীদের ডিএ প্রদান করেছেন।
প্রসঙ্গত এ বছরের ১৮ই জুন স্যাটে ডিএ মামলার শুনানি শেষ হয়।এতদিন রায় ঘোষণা ফেলে রাখা হয়েছিল।
গতবছর ৩১শেআগস্ট হাইকোর্ট রায় দেন ডিএ পাওয়া সরকারি কর্মচারীদের অধিকার। রাজ্য সরকার আবারও পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানালে হাইকোর্ট তা খারিজ করে স্যাটকে মামলা নিষ্পত্তির দায়িত্ব দেন। সরকারি পক্ষের উকিল অপূর্বলাল বসু বলেন সরকারের ইচ্ছে থাকলেও ডিএ দেওয়ার সামর্থ্য নেই। সরকারি কর্মচারীদের পক্ষে সওয়াল করেন অ্যাডভোকেট সর্দার আমজাদ আলী, ও ফিরদৌস শামীম। সরকারি কর্মচারীদের আজ বিরাট জয়। আগামী তিনমাসের মধ্যে ডিএ পলিসি বের করতে হবে।ছ’মাসের মধ্যে কার্যকরী করতে হবে।এবং এক বছরের মধ্যে বকেয়া মেটাতে হবে।
রায়ে আরও বলা হয়েছে যে সব রাজ্যসরকারি কর্মচারী ভিন রাজ্যে পোস্টিং ।তারা কেন্দ্রীয় হারে ডিএ পেয়ে থাকেন।তারাও রাজ্যসরকারি কর্মচারী। তাই বৈষম্য রাখা চলবেনা। যদিও দেওয়া অর্থ ফেরত নেওয়া যায় না। তবে সমতা অবশ্যই ফেরাতে হবে।