জেলা

ভরা বর্ষায় উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন নদী থেকে চোরা পথে তোলা হচ্ছে বালি পাথর


দীপশুভ্র সান্যাল: চিন্তন নিউজ:জলপাইগুড়ি, ২৭ শে জুলাই:- প্রশাসনের নজর এড়িয়ে ভরা বর্ষায় চলছে উত্তর বঙ্গের বিভিন্ন নদী থেকে চোরা পথে বালি পাথর তোলার কাজ। ময়নাগুড়ি জর্দা নদী থেকে বালি তোলার পাশাপাশি মাল ব্লকের লিস, ঘিস, ডায়না প্রভৃতি ডুয়ার্সের বিভিন্ন নদী থেকে পাথর তোলার পাশাপাশি। জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের যমুনা নদীর জল কমতেই কাক ভোর থেকে দেদারে বালি তোলা হচ্ছে । সব দফতরে অভিযোগ জানানোর পরেও বালি তোলা বন্ধ হচ্ছে না দাবি গ্রামবাসীদের। কবে বালি পাচার বন্ধ হবে সেই প্রশ্ন তুলছেন গ্রামবাসীরা।

প্রশাসনকে আড়াল করতে পাচারকারীরা কাক ভোর থেকে যমুনা নদীতে নেমে বালি তুলছে বলে অভিযোগ। সোমবার ঘড়িতে তখন ভোর পাঁচ’টা বাজে। গ্রামের সকলের ঘুম ভাঙেনি তখনও সদর ব্লকের কোনপাকড়ির সরকার পাড়ার বাসিন্দাদের। সেই সময় গ্রামের ফাঁকা রাস্তা দিয়ে দ্রুত গতিতে ছুটে চলছে বালি তোলার ট্র‍্যাক্টর। সেই শব্দে ঘুম ভাঙে গ্রামবাসীদের। সেই ট্র‍্যাক্টর যমুনা নদীতে নেমে বালি তুলেই চলছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এই যমুনা নদী থেকে বালি তোলার অভিযোগ দীর্ঘদিনের।

একাধিক বার প্রশাসন অভিযানে নেমেছে ঠিকই, কিন্তু বালি তোলা বন্ধ হয়নি বলে দাবি গ্রামবাসীদের। কয়েকমাস আগে বালি চুরি বন্ধ করতে প্রশাসন সরকার পাড়ার যমুনা নদীর নামার রাস্তায় মাঝে পাকা খুঁটি দিয়ে আটকে দিয়েছিল। সেই খুঁটি ভেঙে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ। অন্যদিকে খুঁটির পাশ দিয়েই বালি ট্র‍্যাক্টর যাতায়াত করছে বলে দাবি। একাধিক ট্র‍্যাক্টরে ইচ্ছেমত নদীর যেখান সেখান থেকে বালি তোলা হচ্ছে। নাগরাকাটা ব্লকের শুল্কা পাড়া থেকেও চলছে বালি চুরি। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক গ্রামবাসী জানান, ইচ্ছেমত বালি তোলা হচ্ছে। গ্রামের উচু জায়গায় মজুত করে রাখা হচ্ছে বালি। জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বলেন,”বালি পাথর চুরি বন্ধ করতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে প্রশাসনের তরফে।”বেআইনি ভাবে বালি তোলা হচ্ছে নদী থেকে। অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার নদী বেডে পৌঁছে মন চায় এক বেসরকারি টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক। জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বেলাকোবা গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন মোহিতনগর সংলগ্ন উত্তর কুমার পাড়ায় করলা নদী থেকে বালি তোলা চলছিল তখন। ক্যামেরা দেখে নদী থেকে পালিয়ে যায় বালি পাচারকারীরা। তারপর ছবি তুলতে গেলে চড়াও হয় ওই সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধি দের ওপর।

ঘটনা প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি সদর বিএলআরও সাথে যোগাযোগ করা হলে অফিসে না থাকায় কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া জানান নি তিনি।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।