বিদেশ

আফগানিস্তানের পাঞ্জশিরে তালিবানদের রুখে দিলো সালেহ-মাসুদের বাহিনী


চৈতালি নন্দী: চিন্তন নিউজ:৩১শে আগস্ট:– সমগ্র আফগানিস্তান যখন তালিবানদের পদতলে আত্মসমর্পণ করেছে তখন তাদের সেই অশ্বমেধ ঘোড়াকে পাঞ্জশিরে রুখে দিলো নর্দার্ন এ্যালায়েন্স। তালিবানদের বিজয়রথকে আটকে দিয়ে প্রথম প্রতিরোধ তৈরি করলেন সালেহ -মাসুদের মুজাহিদিন বাহিনী। উত্তর কাবুলের এই দুর্ভেদ্য উপত‍্যকাই ছিল তালিবানদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের একমাত্র ঘাঁটি। এখানেই প্রতিরোধ বাহিনীর হাতে বিপুল আহত সেনা সহ প্রান গেলো ৩০০ তালিবানী যোদ্ধার ।

জানা গেছে পাঞ্জশীর প্রদেশের সীমান্তে প্রতিরোধ ফ্রন্টের যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করে তালিবানরাই প্রথম আক্রমন হানে, কিন্তু পাল্টা জবাবে পিছু হটতে বাধ‍্য হয় তালিবানরা। দেশের সর্বত্র দখল করলেও রাজধানী কাবুল থেকে ১৫০ কিমি উত্তর পূর্বের পাহাড়ি উপত‍্যকায় প্রবেশ করা তালিবান যোদ্ধাদের পক্ষে সহজ ছিলোনা। গত দু’দশকে এই উপত‍্যকাই ছিল আফগানিস্তানের সবচেয়ে নিরাপদ অঞ্চল।

আত্মসমর্পণ না করলে চূড়ান্ত লড়াইয়ের হুঁশিয়ারি তালিবানদের তরফ থেকে আগেই দেওয়া ছিল। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে প্রবল চ‍্যালেঞ্জের মুখে পড়ে পাঞ্জশিরে কাপিশা প্রদেশ থেকে আপাতত পিছু হটতে বাধ‍্য হচ্ছে তালিবানরা। দেশবাসীকে নিজেদের উপর বিশ্বাস রাখতে বলে আমারুল্লাহ সালেহ বলেন সন্ত্রাসবাদের কাছে বিশ্ব যেন মাথা নত না করে, কাবুল বিমানবন্দর যেন বিশ্বমানবতার হাড়িকাঠ না হয়ে ওঠে। আফগানিস্তানে পাঞ্জশিরের নেতা মাসুদের নির্দেশ ছিল মানুষ যেন কোনভাবেই তালিবানদের কাছে মাথা না নোয়ায়।শরীরের শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত লড়ে যাবার অঙ্গীকার করেন তিনি। যুযুধান দুই পক্ষের কাছেই কাপিলা প্রদেশের পাঞ্জশির এখন পাখির চোখ। একদিকে ক্ষমতা দখলের লড়াই অপর দিকে শেষ পর্যন্ত বাঁচার লড়াই।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।