জেলা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা নিউজ


চিন্তন নিউজ:৪ঠা অক্টোবর:-দেবু রায় :- আজ থেকে পথ চলা শুরু হলো বৈষ্ণব ঘাটা-পাটুলিতে দীপা রায় ভবনে “শ্রমজীবী রান্নাঘর “আজকে উদ্বোধন এর দিন উপস্থিত ছিলেন , এলাকার বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী, নাট্য ব্যক্তিত্ব চন্দন সেন, অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী, আর ছিলেন কান্তি গাঙ্গুলি. আজকের এই দূর্মূল্যের বাজারে মাত্র কুড়ি টাকার বিনিমিয়ে দুপুরের খাবার, যা ভাবা যায় না. এই অসম্ভব কে সম্ভব করেছে এক মাত্র লাল ঝান্ডা. এলাকার বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী তার সংক্ষিপ্ত ভাষণে বলেন একদিকে লকডাউন পরবর্তী সময়ে দেশের মানুষের হাতে পয়সা নেই. অসহায়. ঠিক তখনই মোদী সরকার কৃষি বিল এনে আরও মানুষকে বিপদের মধ্যে ঠেলে দিচ্ছেন, তার সাথে হাথরাস এর ঘটনা, অন্য দিকে রাজ্যে সরকারী দলের দুর্নীতি, কিন্তু এই অবস্থায় এক মাত্র লাল ঝাণ্ডার দলই মানুষকে নতুন রাস্তা দেখাচ্ছে. শ্রমজীবী ক্যান্টিন, শ্রমজীবী বাজারের মধ্যে দিয়ে.
আজ মোট তিনশো পঞ্চাশ জনকে খাবার দেওয়া যায় যদিও চাহিদার তুলনায় অনেক কম। তাই উদ্যোগ তারা ঠিক কোরেছেন আগামী দিনে আরও বেশি সংখ্যক প্যাকেট বানানো হবে যাতে আসে-পাশের ১০২এবং ১০১ওয়ার্ডের গরিব মানুষের পাশে দাঁড়ানো যায়!উদ্যোক্তাদের একটাই কথা কেউ খাবে কেউ খাবে না, সেটা হবে না -সেটা হবে না.
অন্য দিকে গত ২রা অক্টোবর থেকে পূর্ব যাদবপুর এস‌এফ‌আই/ডিওয়াইএফ‌আই/এইড‌ওয়া/সিআইটিইউএর লোকাল কমিটির উদ্যোগে ২থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত এলাকার দুটি ওয়ার্ডে ১০৪এবং ১০৯.মোট ছাপান্নটি জায়গায় পথ সভার আয়োজন করে — উত্তরপ্রদেশ , রাজস্থান, পশ্চিম বাংলায় নারী নির্যাতন, কৃষি বিলের বিরুদ্ধে,অত্যাবশ্যক পণ্য আইনের পরিবর্তন, শ্রম আইন শিথিল,করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্র এবং রাজ্যে সরকারের সার্বিক ব্যর্থ তার প্রতিবাদে.

নাকতলা ওয়ার্ড নং১০০ আজ থেকে শুরু হলো শ্রমজীবী বাজার!যদিও ইতিমধ্যে বাঘাযতীনে র ১-ব্লকে দীর্ঘ এক মাসের বেশি সময় ধরে শুরু হয়েছে শ্রমজীবী বাজার, খুব শীঘ্রই শুরু হতে চলেছে যাদবপুর নারকেল বাগান ৯৮নং ওয়ার্ডে। রাজ্যে সরকারের বহুল বিজ্ঞাপন দেওয়া, বহুল প্রচারিত, টাস্ক ফোর্স এর নামে মানুষকে ধোঁকা দেওয়া নয়, অনেক কম দামে সবজি বিক্রি করা হয়, শ্রমজীবী বাজার থেকে. সরাসরি চাষীর থেকে কিনে স্টল থেকে বিক্রি করা হচ্ছে জনসাধারণের কাছে, মধ্যে খানে কোন দালাল নেই তাই ওরা পারছে ৪০শতাংশ কম দামে দিতে।ভাবতে অবাক লাগে যেটা সরকার চাইলেই করতে পারে সেটা করছে বাম ছাত্র-যুব রা. এই মুহূর্তে সারা রাজ্যে প্রায় ছয় ৬০০এর বেশি অঞ্চলে চলছে শ্রমজীবী ক্যান্টিন বা বাজার. যদি দেখি যে এর ফলে উপকৃত হচ্ছেন প্ৰতিটি জায়গা থেকেকম করে পাঁচশো লোক তাহলে হিসাব করুন রোজ কম করে ৬০০×৫০০=? সংখ্যাটা প্রায় তিন লক্ষ দাঁড়ায়. অথচ দেখুন কি কেন্দ্র বা কি রাজ্যে, কোন সরকারের কোন হেলদোল নেই. তাই মনে হয় ওরা আছে বিজ্ঞাপন এ আর বাম ছাত্র যুবরা আছে রাস্তায় মানুষের পাশে .

ক্যানিং পূর্ব রিপোর্টার – বিভাস সাহা:-আজ ৪ ঠা অক্টোবর, ক্যানিং বাঁশড়া অঞ্চলে সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির পক্ষ থেকে ঘুটিয়ারি শরীফ এ উত্তর প্রদেশের নারকীয় ধর্ষণ ও প্রশাসন এর ভূমিকার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল সংগঠিত হয় । সারা দেশ ব্যাপী মহিলা সমিতি ও বামপন্থী গণসংগঠনের পক্ষ থেকে যোগী আদিত্যনাথ সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রতিবাদের অংশ হিসাবে এদিনের কর্মসূচি নেওয়া হয় । জাস্টিস ফর মনীষা ব্যানার এ ক্যানিং বাঁশড়া অঞ্চলের স্থানীয় মহিলা ও বামপন্থী কর্মী সমর্থক রা মোমবাতি নিয়ে মিছিল করেন l মিছিল এ স্লোগান ও বক্তব্য এর মাধ্যমে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করেন নেতৃত্ববর্গ । মিছিলের প্রভাব এলাকায় ভালো পড়ে ।

অন্যদিকে ডায়মন্ড হারবার থেকে সন্যাসী হালদার জানাচ্ছেন আজ ডায়মন্ড হারবার ২ সিপিআই(এম) এরিয়া কমিটির পক্ষ থেকে সরিষা মোড় ও স্থানীয় অঞ্চলে উত্তর প্রদেশের নারকীয় নারী নির্যাতন ও যোগী সরকারের দলিত বিদ্বেষী সংস্কৃতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল করা হয় l মিছিল সরিষা ডায়মন্ড হারবার মূল সড়ক বারবার পরিক্রমা করে l স্থানীয় বামপন্থী গণআন্দোলনের নেতৃত্ববর্গের উপস্থিতিতে স্লোগান, ব্যানার ও হাতে লেখা পোস্টারের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তির দাবি করা হয় l


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।