মিতা দত্ত: চিন্তন নিউজ:৫ই মার্চ:– Socialism or Barbarism – রোজা লুক্সেমবুর্গ – এক বিপ্লবী কন্ঠ । রোজা লুক্সেমবুর্গ কিশোর বয়সে উপলব্ধি করেছিলেন মানবমুক্তি জীবনের একমাত্র লক্ষ্য । সুষ্ঠু রাজনৈতিক ব্যবস্থা ছাড়া এই মানবমুক্তি সম্ভব নয়।তাই রাজনৈতিক মুক্তি অর্জনের লক্ষে জীবন অতিবাহিত করেন।
১৮৭১ সালের ৫ই মার্চ রাশিয়া অধিকৃত পোলান্ডে জন্মগ্রহণ করেন। শারীরিক প্রতিবন্ধী কিন্তু অসমসাহসী এই পোলিশ মেয়েটি বেড়ে ওঠার সময়টা ছিলো টালমাটালের যুগ।শারীরিক প্রতিবন্ধকতা তাঁর কাজের প্রতিবন্ধক হয়ে ওঠেনি।সেই সময় সে প্রথমে জার্মানির প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলে যোগ দেন। তাঁর লড়াই ছিলো লিঙ্গ বৈষম্য , সামাজিক বৈযম্যের বিরুদ্ধে । প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে যাওয়াই একমাত্র লক্ষ্য স্থির করায় তিনি সেই দলের সাথে বেশীদিন চলতে পারেননি। কিন্তু বিরোধীতার করার শাস্তি হয় কারাবাস।
লুক্সেমবার্গের কারাবাস হয় আগুন নেভানোর জন্য। কিন্ত উল্টো কাজ হয়। কারাজীবনে ধীরে ধীরে সলতে পাকানোর কাজ চলতে থাকে। দীর্ঘ আড়াইবছর কারাদণ্ডের পর মুক্তি পান।মুক্তি পেয়েই সোশাল ডেমোক্রেটিক পার্টি ও পরে জার্মানীর কমিউনিস্ট পার্টি গঠনে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন।
মুক্তিকামী জনগণের প্রিয় লুক্সেম হয়ে ওঠেন মার্কসবাদী তাত্ত্বিক, সমাজ দার্শনিক ও বিপ্লবী।সমাজের অন্ধকার কাটানোর জন্য জীবণপণ করেন। তিনি বলেছিলেন সমাজতন্ত্র ব্যক্তিবিশেষের কাছে একনায়কতন্ত্র হয়ে ওঠে ।হিটলার তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। এইভাবে তিনি সত্যের উদঘাটন করতেন।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের তিনি বিরুদ্ধে ছিলেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ বলতে তিনি বলেছিলেন সংগঠিত হত্যা। সেইসময় বিপ্লবী অভুথানের তিনি একজন ছিলেন। সরকার পক্ষ তাদের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী মিলিশিয়া বাহিনীকে লেলিয়ে দেয়। সেই বাহিনীই লুক্সেমবার্গকে মাথায় গুলি করে। কিন্তু তিনি তো মৃত্যুহীন প্রাণ। আজ জন্মদিবসে চিন্তনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা এই বিপ্লবীকে।