মিতা দত্ত:চিন্তন নিউজ:১৩ই জানুয়ারি:- ব্রাহ্মন্যবাদের দ্বারা সৃষ্ট জাতিবৈষম্য ও বর্ণবৈষম্য প্রথম থেকেই ভারতীয় জনসমাজকে এগোতে দেয় নি। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সীমাবদ্ধ ছিলো সমাজের তথাকথিত ওপরতলার মানুযের জন্য, সেই সমাজে মেয়েদের অবস্থান কেমন ছিলো তা বলার অপেক্ষা রাখে না। নারী ছিল সন্তান উৎপাদনের যন্ত্র। নারীরা ছিলো কখনও বাবার, কখনও স্বামীর, কখনও সন্তানের সম্মত্তি।
প্রাচীন কালে বৌদ্ধধর্মের প্রভাবে অবস্থান কিঞ্চিৎ বদলায়। কিন্তু ব্রাহ্মমন্নযবাদের অত্যাচারে বুদ্ধদেবের জন্মস্থানে সে অনাদৃত হয়ে থেকে গেলো।
মুসলমান শাসকদের সময়ে অবস্থার রদবদল হওয়ার কোনো কারণ নেই।ঔপনিবেশিক শাসনে ইউরোপের হাওয়ায় আমাদের চিন্তা চেতনা আলোড়িত হয়। শাসক নিজের প্রয়োজনে মধ্যবিত্তশ্রেণী তৈরী করতে গিয়ে মানুষ মানুষ হওয়ার স্বপ্ন দ্যাখে। কিছু শিক্ষিত পরিবারের বাড়ির মেয়েদের শিক্ষার আলোয় আলোকিত করার ইচ্ছে হয়। সেই ইচ্ছেতে আগুন ধরায় বিদ্যাসাগর। শুরু হয় মেয়েদের গুটি গুটি পায়ে জীবনকে জীবনের মতো করে দেখা।
খুব অল্পসময়ের মধ্যে মেয়ের বিজ্ঞান, সাহিত্য, ইতিহাস সবক্ষেত্রে নজির তৈরী করে।যদিও সমাজ পিতৃতান্ত্রিক হওয়ার সেইসব মেয়েরাই এগোও যাদের দৃঢ়চেতার সাথে কোনো পুরুষের শক্ত হাতের সান্নিধ্য পায়।
এইরকমই নারী হলেও উনবিংশ শতাব্দীতে মানুষ হয়ে উঠেছিল, আজকের সেমিনারে তাঁদের কথাই উঠে এলো। আনন্দবাঈ,কাদম্বিনী, দেবলা,,ইরাবতী। নামই যথেষ্ট ওনারা সবার কাছে প্রেরণাময়ী ।ওনাদের দেখানো পথে হাঁটতে হবে, পদে পদে হোঁচট খেলেও এই শিক্ষা সারাজীবন মানুষকে পথ দেখাবে।।