কলমের খোঁচা রাজ্য

শ্রদ্ধা,স্মরণে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়।


পাপিয়া ঘোষ সিংহ:চিন্তন নিউজ:২৩শে অক্টোবর:–সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৩৪সালের ৭ই সেপ্টেম্বর অধুনা বাংলাদেশের মাদারীপুরে। মাত্র চারবছর বয়সে বালক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় চলে আসেন কলকাতায়।পড়াশোনা করেন কলকাতায়। বাংলা সাহিত্যে এম এ পাশ করেন। ১৯৫৩ সালে তিনি কৃত্তিবাস নামে একটি কবিতা পত্রিকা সম্পাদনা শুরু করেন। ১৯৫৮ সালে তাঁর লেখা প্রথম উপন্যাস ‘একা এবং কয়েকজন’ প্রকাশিত হয়। ১৯৬৬ সালে তার গল্প আত্মপ্রকাশ প্রকাশিত হয়।তাঁর লেখা অন্যান্য গল্প,উপন্যাস আত্মপ্রকাশ অরণ্যের দিনরাত্রি,সরল সত্য, তুমি কে?জীবন যেরকম,কালো রাস্তা সাদা বাড়ি,অর্জুন,কবি ও নর্তকী, স্বর্গের নিচে মানুষ,আমিই সে, একা এবং কয়েকজন।

তাঁর লেখা অন্যতম‌ উপন্যাস ‘নীললোহিত’। নীললোহিত নিজেই গল্পের কেন্দ্র চরিত্র। লেখক নীললোহিতের বয়স ২৭ বছরের বেশি বাড়তে দেননি কখনও। নীললোহিত বেকার, বা কখনও চাকরি পেয়েও টেকে না, যার বাড়িতে , মা,দাদা, বৌদি দায়িত্বে ভরা সংসার। নীললোহিতের বহু কাহিনীতেই দিকশূন্যপুর বলে একটি জায়গার কথা শোনা যায়। যেখানে বহু শিক্ষিত সফল কিন্তু জীবন সম্পর্কে নিস্পৃহ মানুষ একাকী জীবনযাপন করেন। শিশু কিশোরদের জন্য তিনি ‘কাকাবাবু ও সন্ত্ত’ গোয়েন্দা গল্প লেখেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ-হঠাৎ নীরার জন্য, হীমঘর। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় “নীললোহিত”, “সনাতন পাঠক” ও “নীল উপাধ্যায়” ইত্যাদি ছদ্মনাম ব্যবহার করেছেন।তার রচিত উপন্যাসের বহু সিনেমা চিত্র তৈরি হয়েছে। অরন্যের দিনরাত্রি, প্রতিদ্বন্দ্বী ,ইয়েতি অভিযান, মিশর রহস্য, সবুজ দ্বীপের রাজা, এবং হঠাৎ নীরার জন্য।


সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ১৯৭২সালে আনন্দ পুরস্কার ও ১৯৮৫ সালে সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার পান। ২০০২সালে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় কলকাতার শেরীফ নির্বাচিত হন।তাঁঁর কন্ঠ বিখ্য্যা্ত কবিতাপাঠ কেউ কথা রাখেনি’–মানুষের মনে গেঁঁথেে রয়েছে। মৃত্যু পর্যন্ত তিনি জাতীয় সাহিত্য একাডেমির সভাপতি ও পশ্চিমবঙ্গের শিশু কিশোর সাহিত্য একাডেমির সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১২ সালের ২৩শে অক্টোবর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন কিংবদন্তী কবি,সাহিত্যিক। তাকে শ্রদ্ধা জানাতেই এই প্রতিবেদন।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।