রাজ্য

প্রয়াত সুধীর বসাকের স্মরণসভা


সঞ্জিত দে: চিন্তন নিউজ: ১১ই সেপ্টেম্বর:– – বর্তমান সময়কালে ভারতবর্ষে ও এই রাজ্যে প্রতিনিয়ত পার্টিকে আক্রমনের মুখে পড়তে হচ্ছে। সর্বশেষ ঘটনা ত্রিপুরাতে যে ভাবে কমিউনিস্ট পার্টির কর্মী নেতৃত্ব অফিসের উপর আক্রমণ নামিয়ে আনা হয়েছে তা সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে।এই আক্রমনের মোকাবিলা করতে পারে সংঘবদ্ধ পার্টি কর্মীরাই। পার্টি কর্মীদের কাজ আরও বেশি মানুষের কাছে গিয়ে ফ্যাসিস্ট শক্তির চেহারা তুলে ধরতে হবে।এইশক্তি মেহনতী শ্রমজীবী মানুষের কত ক্ষতি করতে পারে সেই বিপদের কথা তুলে মানুষকে সচেতন করে আমাদের দিকে আনতে হবে।ফ্যাসিস্ট শক্তি বার বার কমিউনিস্ট পার্টির উপর আক্রমণ করেছে আজও করে চলেছে।কমিউনিস্ট পার্টি গোটা দুনিয়ার শ্রমজীবী মানুষের হয়ে লড়াই করে তাই এই আক্রমণ।এই কথাগুলি বললেন সি পি আই এম জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক সলিল আচার্য
শুক্রবার বিকালে ধূপগুড়ি পার্টি অফিসে প্রয়াত পার্টি সদস্য সুধীর বসাকের স্মরণ সভায়।

গত ৫ সেপ্টেম্বর কমরেড সুধীর বসাক প্রয়াত হন। বঙ্গীয় প্রাদেশিক ছাত্র ফেডারেশনের মধ্য দিয়ে যে কয়জন ছাত্র ধূপগুড়িতে কমিউনিস্ট পার্টি গড়ে তোলার কাজে যুক্ত হয়েছিলেন তাদের একজন ছিলেন সুধীর বসাক। জলপাইগুড়ি জেলার ছাত্র যুব আন্দোলন গড়া সংগঠন বিস্তার করার কাজেও তিনি অগ্রনী ভূমিকায় ছিলেন।১৯৬৫ সালে পার্টি সদস্য পদ লাভ করার পর যুব কৃষক শ্রমিক সব সংগঠন গড়ার কাজে ধাপে ধাপে তিনি দ্বায়িত্ব পালন করে গেছেন নিষ্ঠার সাথে।মৃত্যুর দিন পর্যন্ত তিনি পার্টি সদস্য পদ ধরে রাখেন।মৃত্যু কালে তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।

এই স্মরণ সভায় পার্টি কর্মী সমর্থক সদস্যদের সাথেই উপস্থিত ছিলেন প্রয়াত সুধীর বসাকের স্ত্রী দুই কন্যা জামাতা নাতিনাতনি রা।স্মৃতি চারনা করে বক্তব্য রাখেন সমসাময়িক কালের যুব নেতা এবং পার্টি সংগঠক চন্দন দাশগুপ্ত শ্যামল বসু প্রবীন পার্টি নেতা সুভাষ রায়।সুধীর বসাকের হাত ধরে যারা যুব আন্দোলনে যুক্ত হয়েছিলেন তারাও এদিন স্মৃতি চারনা করেন।স্মরণ সভা পরিচালনা করেন জীবন কৃষ্ণ রায়।সভার মুখবন্ধ উপস্থাপন করেন পার্টির এরিয়া কমিটির সম্পাদক মুকুলেশ রায় সরকার।

স্মরণ সভা শেষে ত্রিপুরায় বিজেপির সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ধিক্কার জানিয়ে বিরাট মিছিল শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।