জেলা

তিস্তায় জারি লাল সতর্কতা।


দীপশুভ্র সান্যাল: চিন্তন নিউজ: ১৩/১০/২০২২:–বৃষ্টি না হওয়ায় জল কিছুটা কমলেও এখনো বিপদ সীমা দিয়ে বইছে তিস্তা নদীর জল।
আতঙ্কের রাত কাটাল জলপাইগুড়ি কয়েকদিনের অবিরাম বর্ষণের প্রভাবে নিচু জমি খাল বিল নদী নালা ছিল পূর্ন। তার মধ্যে সিকিম পাহাড়ে অবিরাম বৃষ্টির জেরে গজল ডোবা থেকে বেশ কয়েক দফায় জল ছাড়া হয়েছে বুধবার সারাদিন ধরে দফায় দফায়। এর জেরে বুধবার বিকেলে তিস্তা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় দোমহনী থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত লাল সতর্কতা জারি করেছিল সেচ দপ্তর। একইসাথে তিস্তা নদীর সংরক্ষিত এলাকা অর্থাৎ নদী সংলগ্ন শহরাঞ্চলের জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছিল সেচ দপ্তরের তরফে।

জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু জানিয়েছিলেন প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যাবস্থা নিয়েছে জেলা প্রশাসন। যদি জল আরও বাড়ে তবে যেখানে যেখানে প্রয়োজন সেখান থেকে মানুষদের সরিয়ে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হবে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে মাইকিং করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, ফ্লাড ক্যাম্পগুলি প্রস্তুত রাখার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল জেলা প্রশাসনের তরফে। বুধবার রাত থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বেশ খানিকটা কম হওয়ায় তিস্তা নদীর কানায় কানায় পূর্ণ থাকলেও রাতে তিস্তা সংলগ্ন নিচু এলাকায় জল ঢোকেনি। বৃহস্পতিবার ধীরে ধীরে জল ছাড়ার পরিমাণ কম হওয়ায় তিস্তার জল বিপদসীমা অতিক্রম করেনি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ১৯৬৮ সালের ৪ঠা অক্টোবর লক্ষ্মী পূজার রাতে মেঘ ভাঙ্গা বৃষ্টিতে সিকিমের জলাধার থেকে বিরাট পরিমাণ জল ছাড়ায়
তিস্তার বিধ্বংসী বন্যায় প্লাবিত হয়েছিল জলপাইগুড়ি। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য অনুযায়ী গজলডোবা ক্রমাগত জল ছাড়ার কারণে বুধবার সারাদিন জলপাইগুড়ি সংলগ্ন তিস্তা সেতু ছিল ঘন কুয়াশা আচ্ছন্ন । নিম্নচাপের জেরে প্রবল বৃষ্টিতে শহরের বহু প্রবীন নাগরিকই স্মৃতি রোমন্থন করছিলেন ১৯৬৮ সালের ৪ঠা আগস্ট এর ভয়াবহ বন্যার। বৃহস্পতিবার দু-এক পশলা বৃষ্টি হলেও জলপাইগুড়ি শহর ও তিস্তার অববাহিকায় বৃষ্টির পরিমাণ কম হওয়ায় নদীর জল বেশ খানিকটা নেমেছে বলে তিস্তা পাড়ের বাসিন্দারা জানিয়েছেন।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।