জেলা

শেষ হলো একটা অধ্যায়”রত্না ভট্টাচার্য”


নিজস্ব প্রতিবেদন, মিঠুন ভট্টাচার্য: চিন্তন নিউজ:২৭শে অক্টোবর:– কমরেড রত্না ভট্টাচার্য শিলিগুড়ির প্রবাদপ্রতিম বামপন্থী রাজনীতিবিদ ছাত্র আন্দোলন দিয়ে যার হাতে খড়ি , পরবর্তীতে শিলিগুড়ি পৌরসভার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি , শিলিগুড়ির বিধায়ক হয়ে দীর্ঘ 22 বছর রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলানো এবং পরবর্তীতে দীর্ঘ লড়াই থেকে জয় ছিনিয়ে নিয়ে এসে শিলিগুড়ি মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের মেয়র কমরেড অশোক ভট্টাচার্যের জননেতা হয়ে ওঠার পেছনে যদি সবথেকে বেশি কারও অবদান থেকে থাকে তাহলে সবার অলক্ষ্যে থেকে সেই অংশীদারিত্ব সেই সহযোদ্ধা সুলভ লড়াই এবং পারিবারিক জীবনে সবথেকে বেশি আত্মত্যাগ করে চলা মানুষটি কমরেড অশোক ভট্টাচার্যের সহধর্মিনী কমরেড রত্না ভট্টাচার্য , দীর্ঘ 41 বছরের সংসারিক জীবন , নিজে ছিলেন স্কুল শিক্ষিকা এবং ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) র পার্টি সদস্য।

সদা হাস্যময়ী আচার-আচরণ এবং ব্যবহারের মধ্য দিয়ে অগণিত মানুষের মনের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছিলেন দার্জিলিং জেলা ছাত্র – যুব আন্দোলনের বহু কমরেডদের প্রিয় দিদি – বৌদি থেকে কাকিমা হয়ে ওঠা এই মানুষটি , এনজেপি রেল কলোনি থেকে পথচলা শুরু হয়ে সুভাষপল্লীর প্রভাবশালী মন্ত্রীর বাড়িতে থাকা অবস্থাতেও কোনদিন তার আচার-আচরণে ছিল না কোন অহংকারের ছাপ , কমরেড অশোক ভট্টাচার্য মানেই বাড়িতে সব সময় লোকজনের আসা যাওয়া হাসিমুখেই তাদের আপ্যায়ন করতেন কমরেড রত্না ভট্টাচার্য !!

কিছুদিন থেকেই শারীরিক অসুস্থতায় শিলিগুড়িতে চিকিৎসা চলছিল তার পরবর্তীতে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হলেও কয়েকদিন চিকিৎসার পরে আজ উনি চলে গেলেন না ফেরার দেশে , আজ রাতেই কলকাতা থেকে কমরেড রত্না ভট্টাচার্যের মরদেহ শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে সকাল ৬:৪৫ মিনিটে নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশনে পৌঁছাবে।

একথা বলাই যায় দার্জিলিং জেলা বামপন্থী আন্দোলনের বহু ছাত্র-যুব সহ পার্টি কমরেড এবং অগণিত মানুষ অপেক্ষা করে আছে তাদের প্রিয় মানুষটিকে শেষবারের মতো একবার দেখার জন্য!!


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।