রাজ্য

কাঁকিনাড়ায় বোমার আঘাতে মৃত্যু, আহত হ‌ওয়া নিত্যদিনের ঘটনা।প্রতিকারহীন প্রশাসন।


সূপর্ণা রায়:চিন্তন নিউজ:২১শে সেপ্টেম্বর:–কাঁঁকিনাড়াতে বোম ফেটে আহত গ্যাংম্যান-। কাকিনাড়াতে দুষ্কৃতিদের রাখা বোমাতে গুরুতর ভাবে আহত হলেন এক গ্যাংম্যান ।তার নাম- রাজকুমার রায়।। সকাল ১১:৩০ নাগাদ এই মর্মান্তিক ঘটনাটা ঘটে।। তিনি এখন রেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য রয়েছেন এবং রেল শ্রমিকরা আতঙ্কে ভুগছে।। রাজকুমার দাস থাকেন রেলের কোয়ার্টারে। এক নম্বর প্যাল্টফর্মের গায়ে একটি ঘর আছে সেখানে থাকে গ্যাংম্যানদের দৈনন্দিন কাজের জিনিষপত্র।। ওখানেই সকলে জমায়েত হন তারপর কাজের জিনিষ নিয়ে কাজে যান।। সেদিন তাই গিয়েছিলেন।। তাদের কাজ হল রেলের লাইন পরিস্কার করা—–আশেপাশের জঙ্গল পরিস্কার করা আরও নানা ধরনের কাজ করেন।।

এদিন রাজকুমার রেলের পাঁচিলের গায়ের জঙ্গল পরিস্কার করছিলেন।। যেই তিনি গাইতি দিয়ে কোপ মারেন ওমনি বিকট শব্দে এলাকা কেপে উঠে।। এখানে দুষ্কৃতরা বোম রেখে চলে যায় আর গাইতির আঘাতে বোম ফেটে রাজকুমার রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে পড়ে থাকে অসহায় এর মতো।।। তার ডান হাত,পা, শরীরের বিভিন্ন জায়গায় বোমার স্লিন্টার ঢুকে যায় ।-তৎক্ষনাৎ তাকে নৈহাটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় পরে কাঁঁচরাপাড়া হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয়।

কাঁঁকিনাড়ার এই অঞ্চলটা দুষ্কৃতিদের মুক্তাঞ্চলে পরিনত হয়েছে।। ভর সন্ধ্যাতে দুষ্কৃতিদের উৎপাতে মানুষের চলা দায় হয়ে উঠছে দিনকে দিন। ক’দিন আগে একটু রাত বাড়লেই ছিনতাইকারীরা সক্রিয় হয়ে উঠে। মাঝরাতে এক যাত্রী কিছুদিন আগে কাকিনাড়াতে নামেন —–সঙ্গে সঙ্গে ছিনতাইকারীরা তাকে ঘিরে ধরে আর তারপর তার টাকা পয়সা-সোনার হার সব ছিনতাই করে -সেটা করেই তারা ক্ষান্ত হয়নি বোম মারে তাকে লক্ষ করে আর তার আঘাতে সেই অপরিচিত মানুষটি মারা যায়।কাঁঁকিনাড়া এখন আতঙ্ক পুরীতে পরিনত হয়েছে,এখন আর বেশীর ভাগ জনগন কাঁঁকিনাড়াতে নামেন না সবাই নৈহাটিতে নামেন আর সেখান থেকে বেশ কষ্ট করে বাড়ি ফেরে প্রান হাতে করে। পুলিশ থাকে তবুও তারা এই অসামাজিক কাজ বন্ধ করার কোন উদ্যোগ নেয় না। এটা বড় প্রশ্ন-কি পায় তারা?


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।