রাজ্য

বাম আমলের স্বজনপোষণের অভিযোগ নস্যাৎ করে শিক্ষক নিয়োগে রায়দান হাইকোর্টের:–


মধুমিতা রায়: চিন্তন নিউজ:৯ই জানুয়ারি:- আরো একটি নির্বাচনের মুখে দাঁড়িয়ে রাজ্য সরকার । এই পরিস্থিতিতে বাম সরকারের স্বজনপোষণ ও অস্বচ্ছতার অভিযোগ খারিজ করে রায় ঘোষণা করেন কোলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী। এই রায় দান আরোও একবার বাম সরকারের স্বচ্ছতার ছবিকেই প্রতিষ্ঠিত করে। বাম সরকারের আমলে একটি সুস্পষ্ট স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে সারা রাজ্য জুড়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের মাধ্যমেই। সেইমতো ২০০৯ সালে তৎকালীন বাম সরকার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেন প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ গুলি সুষ্ঠ নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেন এবং ২০১০ সালে এই নিয়োগের কাজ সম্পন্ন করা হয় রাজ্যের ১৪ টি জেলায়। বাকি ৫ জেলা, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া ও মেদিনীপুর জেলার নিয়োগ বাধাপ্রাপ্ত হয়।

২০১১ সালে সদ্য নির্বাচিত তৃণমূল সরকার রাজ্যে সরকার গঠন করেই বাম জমানার নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন , স্বজনপোষণ ও নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতার অভিযোগ করে। অনশন, আন্দোলন , ধর্না , সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে প্রতিবাদ সব কিছুই সংঘটিত করা হয়। সমস্ত রকম প্রতিবাদ করেও কোন সুফল পাননি চাকুরী প্রার্থীরা। উপরন্তু ঐ পাঁচ জেলায় ২০১৪ সালে নুতন করে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় শিক্ষক নিয়োগের। যার মেধা তালিকা প্রকাশ করতে অসমর্থ হন রাজ্য সরকার দীর্ঘ ছয় বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরও।

বিগত ২০২০ র ২৩ শে ডিসেম্বর রাজ্য সরকার আরোও একটি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। হাইকোর্টে সেই বিজ্ঞপ্তির উপরও স্হগিতাদেশ চেয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রাজ্য জুড়ে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অস্বচ্ছতা , দূর্নীতিতে বিপর্যস্ত বর্তমান তৃণমূল সরকার। তৃণমূলের নেতা মন্ত্রী রা যখন শিক্ষক নিয়োগ দূর্নীতিতে আকন্ঠ নিমজ্জিত। সেই মুহূর্তে তৎকালীন বাম সরকারের অস্বচ্ছতা, স্বজনপোষণের দাবি উড়িয়ে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নামের তালিকা প্রকাশ ও ১৫ দিনের মাথায় নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার হাইকোর্টের নির্দেশ আরো একবার বাম জমানার স্বচ্ছ ভাবমূর্তিকেই তুলে ধরে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।