দেশ বিদেশ

মিথ্যের উড়ান ….রাফাল ..প্রতিরক্ষা দুর্নীতির পাহাড় ….


মীরা দাস, চিন্তন নিউজ, ২২ এপ্রিল: রাফাল চুক্তি, ভারতের প্রতিরক্ষায় সবচেয়ে বড় দুর্নীতি। প্রতিরক্ষা দপ্তরকে অন্ধকারে রেখে একক সিদ্ধান্তে এই চুক্তি কার্যকর করে নরেন্দ্র মোদী। এই চুক্তিকে মোদী সরকারের সাফল্য বলে প্রচার করলেও পুরো প্রক্রিয়াটি নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
বায়ুসেনার প্রয়োজন ছিল ,নুন্যতম ১২৬ টি যুদ্ধবিমান ,সিদ্ধান্ত গ্রহনের সময় মোদী সংখ্যা নামিয়ে আনেন ৩৬ টি তে ।
এই চুক্তির পরিকল্পনা পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নরেন্দ্র মোদী একা নিয়েছেন। এটি একটি ইচ্ছাকৃত স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত যা দেশের স্বার্থ ক্ষুন্ন করেছে। কেন জানতেন না প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মনোহর পারিক্কার এবং কমিটির সদস্য রা এই চুক্তির ব্যাপারে ?
ভারত সরকারের ৯৫ শতাংশ এগিয়ে যাওয়া একটা চুক্তি বাতিল করে দেয় মোদী সরকার ।প্রায় এগারো বছর আবার সেই একই শর্তাবলী রেখে সেই একই সংস্থা কে একই ভাবে যন্ত্রাদি, জিনিসপত্রের বরাত দেওয়া হয় ।নিঃসন্দেহে নিন্দনীয়, ন্যাক্কারজনক নীতি।
অনিল আম্বানির নড়বড়ে, দেনাগ্রস্থ, অনভিজ্ঞ বেসরকারি সংস্থাকে সুবিধে পাইয়ে দিয়ে চুক্তির অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত দেশের সুরক্ষা কে বিপন্ন করেছে।
বাজারের অন্য সংস্থাগুলির সাথে দরদাম যাচাই না করে, যেখানে ৯৫ শতাংশ হয়ে থাকা একটি চুক্তি কে বাতিল ”দাসল্ট অ্যাভিয়েশন অফ ফ্রান্স কে” অর্ডার পাইয়ে দেওয়াটা মোটেই বিচক্ষনতার লক্ষন নয় ।
সুপ্রীম কোর্টকে ভুল তথ্য দিয়েছে ভারত সরকার। এই রাফাল চুক্তির বিতর্কিত দিকগুলি কনট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের মতো একজন সাংবিধানিক পদাধিকারিক নীরব কেন ? এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।