জেলা

পূর্ব বর্ধমান জেলার খবর


চিন্তন নিউজ, কল্পনা গুপ্ত, ৪ঠা জুলাই: বর্ধমান শহরে শ্রমিক ক্যান্টিনের কাজ চলছে। ৩০ জুন পর্যন্ত রান্না করা খাবার দেওয়া হয়েছিল। যেহেতু ১৫ জুলাই পর্যন্ত লকডাউনের সময়সীমা বাড়িয়েছে, এই পর্যায়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ। খুবই সমস্যায় থাকা রেল হকাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য কিছু খাদ্য সামগ্রী শ্রমিক ক্যান্টিনের মাধ্যমে কয়েকটি পর্যায়ে তুলে দেওয়া হবে। আজ তারই প্রস্তুতি চলছে ফ্যান্সি মার্কেট শ্রমিক ক্যান্টিনে (সি আই টি ইউ দপ্তর)। রেল হকার্স ইউনিয়নের পক্ষ থেকে দেওয়া তালিকার ভিত্তিতে আগামীকাল ৫ জুলাই বেলা ১২টায় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।

এদিকে গলসী থানার অন্তর্গত সাঁকো গ্রামে গত ১লা জুলাই এক ৫০ বৎসর বয়সী মহিলা গণধর্ষিত ও নির্যাতিত হন নির্মমভাবে। এই ঘটনায় আসেপাশের গ্রাম সহ গোটা মহিলা সমাজ অত্যন্ত চিন্তিত ও আতঙ্কিত। এই পরিপেক্ষিতে আজ রাজ্য, জেলা ও স্থানীয় মহিলা সমিতির নেতৃত্ব নির্যাতিতার বাড়িতে যান এবং সেখান থেকে অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করে কঠোর সাজার দাবীতে কোভিড পরিস্থিতিতে প্রতিনিধিমূলক ডেপুটেশন দেন। দলে ছিলেন রাজ্য গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির সভা নেত্রী ও প্রাক্তন মন্ত্রী অঞ্জু কর। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এ আই ডি ডব্লুভিইউ পূর্ব বর্ধমান জেলা সম্পাদিকা সুপর্না ব্যানার্জী, পূর্ব বর্ধমান জেলা সভানেত্রী মণিমালা দাস, স্থানীয় নেত্রী কম পুস্প দে, কাজী জবুন্নেসা ও পুতুল সেখ। মহিলা সমিতির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় যে গলসী থানা এলাকার আইন শৃঙ্খলা বিশেষ কেরে মেয়েদের নিরাপত্তা নজরদারির অভাব রয়েছে। তাঁরা আরও অভিযোগ করেন যে আগেও সাঁকো ও সংলগ্ন এলাকায় ১ জন ছাত্রী, ১জন তপশিলী জাতি মহিলা ও ২ জন আদিবাসী মহিলা ধর্ষিত হয়ে খুন হন। তাঁরা হুঁসিয়ারিসুরে বলেন আগেও এরকম ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছিলো কিন্তু অপরাধীরা শাস্তি পায় নি, এবার যেন তার পুনরাবৃত্তি না হয়। এই ঘটানায় যদি অপরাধী শাস্তি না পায় তাহলে তাঁরা বৃহত্তর লড়ায়ের দিকে যাবে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।