রাজ্য

নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিষধর চন্দ্রবোড়া সাপ


সুপর্ণা রায়: চিন্তন নিউজ:২৬শে জুন:– শতাব্দী প্রাচীন এই হাসপাতালে গতকাল চিকিৎসার গাফিলতি বা রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে সরগরম ছিল না ,সরগরম ছিল একটি টেবিলের তলায় একটা বিষধর চন্দ্রবোড়া সাপের ঘোরাঘুরি করা নিয়ে।। শুক্রবার দুপুরে হাসপাতালের এক কর্মী দেখতে পান টেবিলের তলায় একটা সাপ ঘোরাঘুরি করছে। ভয় পেয়ে চিৎকার করতে আরও অনেকে চলে আসেন। কি করবেন কেউ বুঝতে পারছিল না। এক সাহসী কর্মী সাপ টাকে ধরে একটা বোতলের মধ্যে পুরে ফেলে এবং বনদপ্তর এ খবর দেন।

১৮৬৪ সালে এক মহামারী হয়। তৎকালীন বৃটিশ সরকার সিপাহী বিদ্রোহ পরবর্তী সময়ে সামাজিক ও রাজনৈতিক চাপে একটি হাসপাতাল তৈরীর পরিকল্পনা করে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী শিয়ালদহ এর কাছে একটি হাসপাতাল তৈরি করা হয়। নাম দেওয়া হয় শিয়ালদহ মিউনিসিপ্যাল হাসপাতাল। ১৮৭৩ সালে এই হাসপাতাল পরিনত হয় শিয়ালদহ মেডিকেল স্কুলে।পরে আবার নাম পরিবর্তন করে নতুন নাম দেওয়া হয় ক্যাম্পবেল স্কুল পরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৫০ সালে এই হাসপাতাল এর প্রাক্তন ছাত্র ডাঃ নীলরতন সরকার এর নামে এই হাসপাতালের নাম হয় নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।

এই হাসপাতালে র পিছন দিকে একটি পুকুর আছে। ওই পুকুরে বিষাক্ত সাপ বিশেষ করে চন্দ্রবোড়া সাপের বাস। মাঝেমাঝেই ওই পুকুর থেকে উঠে আসে বিষাক্ত সাপ। হাসপাতালের রোগীদের মধ্যেও অনেকেই দেখেছেন এই সব বিষাক্ত সাপ। রোগীর আত্মীয়দের জন্য যে বিশ্রামাগার আছে সেখানেও সাপের ঘোরাঘুরি। স্বাস্থ্য দফতরকে বারবার বলা স্বত্বেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় নি। অথচ স্বাস্থ্যমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তিনি বারবার বলে এসেছেন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাতে অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা অনেক ভালো। অবশ্য কোভিড-১৯ সংক্রমণের সময় প্রমাণ হয়েছে কি দুরবস্থার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বাস করেন।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।