দেশ

মেয়ে সন্তান, তাই বাঁচানোর চেষ্টায় নেই খোদ বাবা,মায়ের!!!!


নিউজ ডেস্ক:চিন্তন নিউজ:৩০শে জুলাই:–সত্যি তো! মেয়েকে বাঁচিয়ে কী লাভ? কোন কাজে লাগবে সে? ভাবছেন এই প্রশ্ন কে তুলছে? তাহলে জানাই এই প্রশ্ন তুলেছেন খোদ মেয়েটির বাবা মা৷ একমাত্র কন্যা সন্তান বিহারের সরকারি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে৷ দুটো কিডনিই তার অকেজো৷
আর এই পরিস্থিতিতে মেয়েটির পাশে নেই তার বাবা মাও৷ তাঁদের সাফ কথা মেয়েকে বাঁচিয়ে কী হবে? শুধু টাকা নষ্ট৷ ছেলে হলে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করে দেখতেন৷ অবাক হ’লেও হ্যাঁ এটা ২০১৯ সাল৷ চাঁদে মানুষ পাঠানো হয়েছে৷ মঙ্গল অভিযানও সেরে ফেলা গিয়েছে৷ একটি শিশু কন্যা মরতে বসেছে শুধু সে মেয়ে বলে৷ তবু মেয়ে আর ছেলের প্রভেদ মেটানো যায়নি এই সমাজ থেকে৷

বিহারের শেখপুরা জেলার সদর ব্লকের অবগিল গ্রামের কাঞ্চন কুমারি৷ মাধ্যমিক পাশ করেছিল প্রথম বিভাগে৷ তারপরেই অসুস্থ হয়ে পড়ে সে৷ নানা পরীক্ষানিরিক্ষার পরে জানা যায় দুটো কিডনিই অকেজো তার৷ ভর্তি করা হয় পাটনার ইন্দিরা গান্ধী ইন্সটিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে৷ হ্যাঁ, পরিবারের হাতে সেই অর্থে আর্থিক ক্ষমতা নেই৷ তাই তাকে স্থানান্তরিত করে ভরতি করা হয় স্থানীয় সদর হাসপাতালে৷

কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য চাই প্রচুর টাকা৷ সেই টাকা জোগাড় করা সম্ভব নয় বিহারের ঐ দম্পতির পক্ষে৷ তবে তাদের সাফাই অবাক করেছে সংবাদমাধ্যমকে৷ তাঁরা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, ছেলে হলে এই পরিমাণ টাকা যোগাড় করার চেষ্টা করতেন তাঁরা৷ কিন্তু এতো মেয়ে৷ কী হবে ওকে বাঁচিয়ে, এত টাকা নষ্ট করে? এই প্রশ্নের উত্তর কে দেবে? কে বোঝাবে সেই বাবা মাকে, যাদের কাছে নিজের সন্তানই ব্রাত্য৷

এখন কোনও চিকিৎসাই হচ্ছে না মেয়েটির৷ বাবা মা কিডনি দিয়ে হয়তো বাঁচাতে পারতেন মেয়েটিকে৷ কিন্তু সেখানেও আপত্তি তাদের৷ কেন দেবেন তারা তাদের কিডনি,কারণ মেয়েকে বাঁচিয়ে লাভ কি?ছেলে হ’লে সর্বস্ব দিয়ে বাঁচিয়ে লাভ আছে।এই বক্তব্য আজকের দিনে,মেয়েটির বাবা,মায়ের। দেশ এগোচ্ছে!!!!


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।